
ছবি সংগৃহীত
মূল বেতনের ওপর বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতার (বোনাস) দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা ৫ শতাংশ হারে (২০০০ টাকা বৃদ্ধিতে) বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা তাদের অষ্টম দিনের অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি চলাকালে সরকারের নতুন প্রজ্ঞাপনের খবর এলে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখান করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ:
-
তারা মনে করছেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা পুরো প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তুলছেন।
-
গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাছ থেকে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় বলেও তারা জানান।
আন্দোলনের মূল দাবি: এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন: ১. মূল বেতনের ওপর ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা। ২. ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। ৩. কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা (বোনাস)।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট:
-
গত আগস্ট মাসে ঢাকায় মহাসমাবেশ করে শিক্ষকরা মূল বেতনের ওপর শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়ার দাবি তোলেন।
-
কিন্তু তাদের দাবি উপেক্ষা করে ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়ে প্রথম প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে সেই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান করেন শিক্ষকরা।
-
সর্বশেষ ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির নতুন প্রজ্ঞাপনটি রবিবার আন্দোলন চলাকালে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
-
তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা গত ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এরপর থেকে সেখানেই বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কর্মবিরতি: গত ১৩ অক্টোবর থেকে শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের এ কর্মসূচি পালন করছেন। এর অংশ হিসেবে সারাদেশের প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা কর্মবিরতি চলছে। ফলে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ইউ