
ফাইল ছবি
ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশি প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছানোর পর দ্রুত তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রাণহানি হওয়া ব্যক্তিদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও রাউজান উপজেলায়।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রধান বিষয়সমূহ (পয়েন্ট আকারে):
-
মরদেহ প্রত্যাবর্তন: শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আট প্রবাসীর মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
-
দুর্ঘটনার তারিখ ও স্থান: গত ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় মাছবাহী একটি বড় ট্রাকের ধাক্কায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
-
প্রাণহানি হওয়া ব্যক্তিরা: দুর্ঘটনায় মোট আটজন প্রবাসী বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে সাতজনই সন্দ্বীপের বাসিন্দা।
-
সন্দ্বীপ: আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন, মো. বাবলু (সারিকাইত ইউনিয়ন), মো. জুয়েল (মাইটভাঙা ইউনিয়ন), এবং মো. রনি (রহমতপুর)।
-
রাউজান: আলাউদ্দিন (চিকদাইর ইউনিয়ন, ইউসুফের ছেলে)।
-
-
দাফন প্রক্রিয়া:
-
সন্দ্বীপ: রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাতজনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং নিজ নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়।
-
রাউজান: একইভাবে রাউজান উপজেলার চিকদাইর গ্রামে আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন হয়।
-
-
কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণ: শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এবং সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা মরদেহ গ্রহণ ও জানাজা-দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
-
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রাণহানি হওয়াদের পরিবার ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, রাষ্ট্রদূত এবং ওমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
ইউ