ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, চৈত্র ৭ ১৪২৯, ২১ মার্চ ২০২৩

English

ফেসবুক থেকে

আলোচনার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত: পুতিন

ঠাকুরগাঁওয়ের যে গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ

‘যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’

৩০ পেরোনো নারীর স্বাস্থ্যের যেসব পরীক্ষা জরুরি

দুর্নীতি দূর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদন অযৌক্তিক: কাদের

বুধবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবে মোটরসাইকেল হস্তান্তর  

বিএসএমএমইউ ও আইসিডিডিআরবি’র যৌথ গবেষণা প্রকাশ

শুটিং কর্মীদের ১৩০ স্বর্ণমুদ্রা দিলেন কীর্তি সুরেশ

নির্বাচনী বছরে চোখ-কান খোলা রাখবে দুদক: চেয়ারম্যান

চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

অভিনেতা খালেকুজ্জামান মারা গেছেন

বঙ্গবন্ধু কাবাডিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

৩৫ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে সাত কলেজের ক্লাস

ফেসবুক থেকে বিভাগের সব খবর

‌‌‘আচমকা শরীর থেকে কলিজা ছিঁড়ে গেছে তাদের’

‌‌‘আচমকা শরীর থেকে কলিজা ছিঁড়ে গেছে তাদের’

আরিয়ান আলম দীপ্ত`র মা রেজিনা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। উনাকে আমি চিনি। ফেসবুকে "Rezena`s Yellow Mart" নামে উনার একটি বিজনেস পেজ আছে। ট্রাডিশনাল ইউনিক ডিজাইনের শাড়ি ও অলংকারের বিজনেস তার। আমাকে ফোন নাম্বার দিয়েছেন রেজিনা আপা। কিন্তু উনি কিভাবে কথা বলবেন? উনার সাথে বলার সাহস আমার হলোনা। টুকটাক কয়েকটা মেসেজ আদানপ্রদান করে নিথর হয়ে গেল আমার ভেতরটা। উনি সারাক্ষণ বিলাপ করছেন দীপ্ত`র জন্য। জানতে পারলাম রেজিনা আপা ও উনার স্বামীর দিনরাতের কোনো হিসাব নেই। আচমকা শরীর থেকে কলিজা ছিঁড়ে গেছে তাদের। এই শোক সইতে পারছেন না আমার একজন প্রিয়মানুষ রেজিনা সুলতানা আপা।

‘সেই সতীন যুগ বর্তমানে বাস্তব জগতে পুনর্বাসিত হয়েছে’

‘সেই সতীন যুগ বর্তমানে বাস্তব জগতে পুনর্বাসিত হয়েছে’

‘‘ছোটবেলায় নানি ও আম্মার মুখে রূপকথার চমকপ্রদ সব গল্প শুনতাম। রূপকথার গল্প নিয়ে বই পড়তাম। সেখানে সুয়োরানী দুয়োরানীর সাপে নেউলে লড়াই দেখতাম। সিনেমায় শাবানা ববিতার কোনো সতীন দেখলে তাদেরকে মনে মনে তিরষ্কার করতাম। সতীন মানেই কুটচালে অভ্যস্ত খল চরিত্র। উন্মুখ হয়ে থাকতাম, কখন সতীন নামের অপছন্দের মহিলাকে নায়িকা বা নায়কের পক্ষ থেকে পানিশমেন্ট দেয়া হবে। কখন সতীনের পতন দেখে ফুরফুরে মন নিয়ে সিনেমাহল থেকে বের হব। সেই সতীন যুগ বর্তমানে বাস্তব জগতে পুনর্বাসিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে শবনম বুবলি হলেন ভারতীয় দুই জাঁদরেল খল অভিনেত্রী বিন্দু আর শশীকলার নতুন সংস্করণ অর্থাৎ সুপার পাওয়ার প্যাক। অপু বিশ্বাসের স্বামীকে ছিনতাই করে বুবলি নিজেই তার অসৎ উদ্দেশ্যকে প্রতিষ্ঠিত করলেন। অপু বিশ্বাসের দুঃসময়ে আমরা বুবলিকে অপুর কাটা ঘায়ে লবণ দিতে দেখেছি। বুবলির কয়েকটি লেখায় অপুর বিরুদ্ধে তার মনের আক্রোশ প্রকাশ পেয়েছিল।’

‘মুখার্জিদার বউ’

‘মুখার্জিদার বউ’

‘‘একটা সিনেমা হয়তো রাতারাতি সমাজ বদলাতে পারে না কিন্তু সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির দিকে আঙুল তুলতে পারে। "মুখার্জিদার বউ" ঠিক তেমনই একটা ছবি। আর দশটা সাধারণ শাশুড়ি পুত্রবধূর হিন্দি সিরিয়াল টাইপের ঝগড়াঝাটি হিংসা বিদ্বেষের ছড়াছড়ির কাহিনী থেকে বেরিয়ে খুবই ব্যতিক্রম এক জীবন পাঁচালির গল্প। টিভির সিরিয়ালের কূটনী শাশুড়ি অথবা কূটনী পুত্রবধূর সাথে সাধারণ দর্শক রিলেট করতে পারেনা। কিন্তু ব্যাপক আসক্তি নিয়ে তাদেরকে দেখতে হয়ত ভালো লাগে। "মুখার্জিদার বউ" দেখে মনে হল আপনার আমার জীবনকে দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে। কারণ তাদের সম্পর্কের তিক্ততা, রাগ-অভিমান, আনন্দ, যন্ত্রণাগুলো ঠিক যেন আমাদের মতোই।’

অভিনেত্রী জয়শ্রী কবিরের মাদকাসক্ত হওয়ার অজানা কাহিনী

অভিনেত্রী জয়শ্রী কবিরের মাদকাসক্ত হওয়ার অজানা কাহিনী

‘‘বাংলাদেশের চিত্রজগতে দাপটের সাথে টিকেছিলেন জয়শ্রী কবির। যে কয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, দর্শকদের মনে মোহময় আবেশ ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন তিনি। জয়শ্রীর মুখশ্রীতে অদ্ভুত সতেজ এক সৌন্দর্য ছিল। জয়শ্রীকে নিয়ে প্রথম লেখাটি ২০ জানুয়ারি আমার টাইমলাইনে পোস্ট করার পর অসংখ্য মানুষ তাঁর মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন। আজকের এই লেখাটা তাদের জন্য। আলমগীর কবিরকে বিয়ে করার আগে জয়শ্রীও একবার বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্বামীর ঔরসজাত দুই সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন জয়শ্রী। দুটো বাচ্চাই সি সেকশনে হয়। সিজারিয়ানের কারণে একটু জটিলতা ছিল জয়শ্রীর শরীরে। যেমন, তিনি প্রচুর ব্যথায় ভুগতেন। ব্যথানাশক প্রচুর ওষুধ খেতেন। তিন সন্তানের পিতা আলমগীর কবিরকে বিয়ে বিয়ে করার পর সহজাতভাবে জয়শ্রীর মধ্যে মাতৃত্বের আকাঙ্খা প্রবলভাবে জেগে ওঠে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। ছেলে লেনিন সৌরভ কবিরের জন্ম হয় সিজারিয়ানের মাধ্যমে। তবে বরাবরের মতই প্রচন্ড ব্যথা হত তাঁর শরীরে। সে সময় ব্যথা কমানোর জন্য তাঁকে কয়েকবার প্যাথেড্রিন দেয়া হয়েছিল। স্বামী সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিল জয়শ্রীর সংসার জীবন। কিন্তু প্রথম পক্ষের তিন সন্তানের প্রতি আলমগীর কবিরের দুর্বলতা দেখে জয়শ্রী ভেতরে ভেতরে ইনসিকিউরড ফিল করতে লাগলেন। তাছাড়া আলমগীর কবিরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ছিল তাঁর দুই মেয়ের নামে। এসবে জয়শ্রী টোটালি ইনসিকিউরড হয়ে পড়েন।’

নার্গিস-সুনীল দত্ত সম্পর্কে অজানা কথা

নার্গিস-সুনীল দত্ত সম্পর্কে অজানা কথা

নার্গিস-সুনীল দত্তকে বলা হয় স্বর্ণযুগের স্বর্ণ দম্পতি। শুরুতে নার্গিস রাজকাপুরের প্রেমে পড়েন। নার্গিস রাজকাপুর রুপালি পর্দার বিখ্যাত জুটিতে পরিণত হয়েছিলেন। মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন রাজকাপুরকে। কিন্তু রাজকাপুর অনেকের সাথে ফ্লার্ট করে বেড়াতেন। লতা মুঙ্গেশকর বৈজয়ন্তীমালা নূতনের সাথে ফ্লার্ট করতেন কাপুর খান্দানের বড় ছেলে। বিবাহিত ছিলেন রাজকাপুর। তা সত্ত্বেও নার্গিস তার দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু রাজকাপুরের পক্ষে স্ত্রী কৃষ্ণাকে তালাক দেয়া সম্ভব ছিলো না। পিতা পৃথ্বীরাজ কাপুরের ভয়ে থরথর করে কাঁপতেন রাজকাপুর। রাজকাপুরের সাথে বিচ্ছেদ হলে ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকেন নার্গিস। এ সময় তার জীবনে আসেন সুনীল দত্ত। মাদার ইন্ডিয়া ছবিতে সুনীল দত্তের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন নার্গিস। একদিন ছবির সেটে আগুন লেগে যায়। আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে নার্গিসকে কোলে নিয়ে তার প্রাণ বাঁচান। তবে এতে সুনীল মারাত্মকভাবে জখম হন। অনেকদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। এ সময় নার্গিস রাতদিন হাসপাতালে অবস্থান করে ডাক্তারের পাশাপাশি রাতদিন তাকে সেবা শুশ্রূষা করেন। এভাবে তারা পরস্পরকে ভালোবেসে বসেন। সবাইকে লুকিয়ে তারা প্রেম করতে থাকেন। চিঠি লিখে টেলিগ্রাম করে প্রেম চালিয়ে যান।

‘তাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শবনমের উপর’

‘তাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শবনমের উপর’

১৯৭৮ সালের ১৩ মে পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত হাই প্রোফাইলড ঘটনা ছিল উর্দু ছবির বিখ্যাত নায়িকা শবনমের গ্যাং রেপ। যা পাকিস্তান ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। লাহোরের পশ গুলবার্গ এলাকায় রবিন ঘোষ-শবনম দম্পতির বাড়িতে এক মর্মান্তিক অগ্নিপরীক্ষার শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। সাত অস্ত্রধারী শবনমের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। প্রথমে তারা সারাবাড়ি ঘুরে ডাকাতি করে। বাড়িতে ছিল কয়েকটি আলমিরা। যেখানে শবনমের মূল্যবান সব শাড়ি ড্রেস ছিল। রুপালি পর্দায় শবনমের পরনে যেসব ঝলমলে শাড়ি দেখা যেত, সেগুলো বস্তায় ঢুকিয়ে নেয় সাতজনের সশস্ত্র ডাকাতদল। তারপর বহুমূল্যের সোনার অলংকার লুটপাট করে। নগদ টাকাও নেয় তারা। বিখ্যাত সুরকার রবিন ঘোষ ডাকাতদল দেখে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। তিনি ডাকাতদের বললেন, ‘আমার যা যা আছে সব তোমরা নিয়ে যাও। কিন্তু আমাদের কোনো ক্ষতি করোনা। আমার শিশুবাচ্চা ভয় পাবে’! তাদের ছেলে রনি ঘোষের বয়স তখন সম্ভবত সাত আট বছর ছিল।

মিঠুন চক্রবর্তী ও শ্রীদেবীর প্রেম কাহিনী

মিঠুন চক্রবর্তী ও শ্রীদেবীর প্রেম কাহিনী

মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে শ্রীদেবীর জমকালো প্রেম কাহিনী ছিল আশির দশকের ব্যাপক আলোচিত টপিক। `জাগ উঠা ইনসান` ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে শ্রীদেবীর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে মিঠুনের। সখ্যতা তীব্র ধারালো প্রেমে রুপ নিতে দেরি হয়নি। যখন তাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে তখনও তারা সম্পর্ক অস্বীকার করে গেছেন। শ্রীদেবীর মা রাজেশ্বরী আয়াপ্পান চাননি তার মেয়ে মিঠুনের সাথে সম্পর্ক রাখুক। কারণ ভদ্রমহিলা শ্রীদেবীকে ‘গোল্ড ডিগার’ ভাবতেন। তার সাইকোলজি ছিল- গোল্ড ডিগারদের কখনো প্রেম বিয়েতে জড়াতে হয়না। মিঠুন চক্রবর্তী তখন বিখ্যাত তারকা হয়ে উঠেছেন। এছাড়া তখন মিঠুন বিবাহিত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে কিশোর কুমারের তৃতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী যোগিতাবালিকে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন। যোগিতাবালিকে বিয়ে করার আগে অভিনেত্রী ও মডেল হেলেনা লিউককে বিয়ে করেছিলেন বাঙালি বাবু মিঠুন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনের আয়ূ ছিল মাত্র চারমাস। হেলেনার অভিযোগ ছিল, তার চোখে ধুলো দিয়ে মিঠুন যোগিতাবালির সাথে অ্যাফেয়ারে জড়িয়েছেন। যার পরবর্তী ফলাফল হল, মিঠুনের সাথে হেলেনার বিচ্ছেদ।

সুনীল শেট্টির মেয়ের বিয়েতে সালমান-ভিরাটের আর্শীবাদ

সুনীল শেট্টির মেয়ের বিয়েতে সালমান-ভিরাটের আর্শীবাদ

সুনীল শেট্টির মেয়ে আথিয়া শেট্টির কিছু ইউনিক ফটোশুট দেখেছিলাম ম্যাগাজিনের পাতায়। ঝলমলে সেই ফটোশুটে ব্রাইডাল সাজে সেজেছিলেন আথিয়া। লাল লেহেঙ্গার সঙ্গে জমকালো গয়না পরেছিলেন। চওড়া নেকলেসের সঙ্গে টিকলি, নথ, ঝুমকা, বালা ও আংটি ছিল। আরেকটি লুকে দক্ষিণ ভারতীয় কনের সাজে দেখা গিয়েছিল আথিয়াকে। কমলা রঙের কাতান সিল্কের শাড়ি, সোনালি ব্লাউজ ও স্বর্ণের গয়নায় সেজেছিলেন তিনি। চুল ও কোমরের ভারি গয়না ছিল সাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এবং এটাই খুব আকর্ষিত করেছে মানুষকে। সুনীল শেট্টি ভারতীয় চলচ্চিত্রের "জেন্টেলম্যান"! গাদ্দার, টক্কর, মোহরা`তে এ্যাংগ্রি অ্যাকশন হিরো, হেরা ফেরি এবং ফির হেরা ফেরি`তে হাসির অভিনয়ে ভীষণ ফ্লেক্সিবল ছিলেন সুনীল শেট্টি। তার ফিল্মি ইমেজ ভীষণ নিট অ্যান্ড ক্লিন। দেখতে হ্যান্ডসাম ছিলেন। তাকে "ওল্ড ওয়াইন" বলা হয়। অনেক নায়িকা তাকে পছন্দ করতেন। কিন্তু তিনি কোনো নায়িকার সাথেই সম্পর্কে জড়াননি। সুনীল শেট্টির অসামান্য পার্সোনালিটির জন্য সিনিয়র জুনিয়ররা তাকে সম্মান করে।