
ফাইল ছবি
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে লাগা ভয়াবহ আগুনে বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএইএবি) সভাপতি কবির আহমেদ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই অগ্নিকাণ্ডে বিমানবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক ধারণা
-
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি: আইএইএবি-এর সভাপতি কবির আহমেদ সন্ধ্যায় সময় সংবাদকে জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে তাঁরা ধারণা করছেন। তিনি নিশ্চিত করেন, এয়ার এক্সপ্রেস ইউনিট পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
-
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা: এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তাঁদের মতে, ওয়্যার হাউজ এবং একটি এয়ার এক্সপ্রেস ইউনিট পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ড ও ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা
-
সূত্রপাত: ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।
-
নিয়ন্ত্রণে আনা: আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একে একে মোট ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, বিমান, নৌবাহিনী এবং বিজিবির বিভিন্ন ইউনিটও আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
-
তীব্রতা: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই আগুনের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
বিমান চলাচলে বিঘ্ন
অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠা-নামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
-
উড়োজাহাজ স্থানান্তরণ: আগুন থেকে বাঁচাতে উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা উড়োজাহাজগুলো দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
-
ফ্লাইট অবতরণ: ঢাকামুখী আটটি ফ্লাইটকে চট্টগ্রাম এবং একটি ফ্লাইটকে সিলেটে অবতরণ করানো হয়।
অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ও তদন্তের দাবি
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই অগ্নিকাণ্ড অসতর্কতা নাকি অবহেলার কারণে ঘটেছে, তা দ্রুত খতিয়ে দেখা উচিত।
ইউ