ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ১৭ অক্টোবর ২০২৫

English

প্রযুক্তি

জুলাই সনদে নারীর অনুপস্থিতি, ফোরামের তীব্র প্রতিবাদ

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৬ অক্টোবর ২০২৫; আপডেট: ২১:১৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই সনদে নারীর অনুপস্থিতি, ফোরামের তীব্র প্রতিবাদ

ফাইল ছবি

বহু প্রতীক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। সনদটি প্রকাশিত হওয়ার পর এটি নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন না আনায় ফোরামটি এই সনদকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি এই অবস্থান ব্যক্ত করে।

প্রতিবাদলিপির মূল বিষয়বস্তু

জুলাই সনদ প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা:

  • পদ্ধতিগত ত্রুটি: প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি, এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়নি।

  • ঐকমত্য কমিশন ও নারীর অংশগ্রহণ: ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ অন্যান্য কমিশনের সুপারিশমালাকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

  • আলোচনা প্রক্রিয়ায় অবহেলা: আলোচনা প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান করা হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও নারীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ফোরামের মতে, সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে এক তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত।

সনদের বিষয়বস্তু নিয়ে অসন্তোষ:

  • নারীর প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি: অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত চূড়ান্ত জুলাই সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি। ফোরামের মতে, এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা ‘নিদারুণভাবে অনুপস্থিত’

  • ঐকমত্যের অভাব: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে এবং ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি।

  • সময়ক্ষেপণের অভিযোগ: মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে ফোরাম অভিযোগ করেছে। এটিকে নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি ‘সরাসরি অবজ্ঞা’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ফোরামের প্রধান দাবি ও চূড়ান্ত অবস্থান

নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’ স্পষ্টভাবে তাদের তিনটি প্রধান দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা সনদে গৃহীত হয়নি:

১. রাজনৈতিক দলে মনোনয়ন: রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩% নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০%-এ উন্নীত হবে। ২. সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন: কেবল ২০২৬ সালের নির্বাচনেই সাময়িক বিশেষ বন্দোবস্ত হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন নিশ্চিত করা। ৩. ভবিষ্যতের অঙ্গীকার: জুলাই সনদে এমন একটি ধারা যুক্ত করা যাতে ২০২৫-এর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সনদ প্রত্যাখ্যান ও হুঁশিয়ারি:

ফোরাম গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছে যে তাদের কোনো দাবিই গৃহীত হয়নি। তাদের মতে, জুলাই সনদ নারীর নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করেছে এবং রাজনৈতিক দলে নারীর প্রতিনিধিত্বের লক্ষ্যমাত্রাকে ২০৩০ সালেরও পেছনে ঠেলে দিয়েছে।

এই অবস্থায়, ফোরাম ঐক্যবদ্ধভাবে চূড়ান্ত সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে বলেছে যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এই বৈষম্যের জবাব দিবে।

ইউ

আবারো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ল

প্রযুক্তির সুবিধা লাভে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাধা

জুলাই সনদে নারীর অনুপস্থিতি, ফোরামের তীব্র প্রতিবাদ

এ আর রহমানের নাম পরিবর্তনের নেপথ্যের কাহিনি

জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে বিশেষ সতর্কতা জারি

জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে কোনো আপোস নয়: মির্জা ফখরুল

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

চট্টগ্রাম ইপিজেডে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

ত্রিপুরায় ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

এইচএসসি ফল নিয়ে উদ্বেগ: ডাটাভিত্তিক পর্যালোচনা হবে

শেখ হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইল রাষ্ট্রপক্ষ

জুলাই সনদ স্বাক্ষর হবে উৎসবমুখর পরিবেশে: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বিমান ক্রু রুদাবা সুলতানার পদাবনতি

জুলাই সনদ নিয়ে যা বললেন আলী রীয়াজ