ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতিসম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেছে, যা শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য নারীপক্ষ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়েছে।
অনুস্বাক্ষরিত তিনটি চুক্তি:
সরকার আইএলও-এর যে তিনটি চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেছে, সেগুলো হলো:
১. পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক চুক্তি, ১৯৮১ (নং-১৫৫) ২. কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নয়নে প্রচারণামূলক কাঠামো চুক্তি, ২০০৬ (নং-১৮৭) ৩. কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক চুক্তি, ২০১৯ (নং-১৯০)
উল্লখ্য, এই তিনটি চুক্তির মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়টি আইএলও’র মৌলিক চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
নারীপক্ষের প্রত্যাশা:
শ্রমিকের অধিকার ও জীবনমান প্রসঙ্গে নারীপক্ষ তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছে, শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রম ও রক্তঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে, অথচ সেই শ্রমিক তার ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবে না, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পাবে না, বা মানসম্মত খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন কাটাবে—এটা হতে পারে না।
সংস্থাটি আশা প্রকাশ করেছে যে, "সরকারের এই পদক্ষেপটি কেবল নথিবন্দি হয়ে থাকবে না; চুক্তিগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে অধিক সচেষ্ট থাকবে।"
ইউ





