ছবি সংগৃহীত
দীর্ঘ আট মাসের আলোচনার ফসল ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও খসড়া জাতির সামনে পেশ করার পরই কেবল এতে স্বাক্ষর করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (২৫ অক্টোবার) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে দলটি।
মূল পয়েন্টসমূহ:
-
খসড়া দেখে সই: এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া ও এর পরিধি জাতির কাছে পেশ করার পর তা দেখেই কেবল সনদে স্বাক্ষর করবে।
-
সদস্য সচিবের ঘোষণা: শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
-
অন্য দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ: আখতার হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, "একটি দল জুলাই সনদকে মুছে দিতে চাইছে" এবং "আরেকটি দল চাইছে তা ভেস্তে দিতে।"
-
প্রতারণা রোধে তাগিদ: তিনি জোর তাগিদ দিয়েছেন যেন কোনো দলের চাপে পড়ে এই সনদ 'প্রতারণার বস্তু' না হয়ে পড়ে।
-
এনসিপি'র অ-স্বাক্ষরের কারণ: আট মাসের আলোচনা শেষে ২৫টি দল সনদে সই করলেও এনসিপি এতে সই করেনি, কারণ সনদ বাস্তবায়নের আশ্বাস ও এর প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট ছিল না। এনসিপি তরুণদের দল।
-
আইনি ভিত্তি না হলে সংগ্রাম: আখতার হোসেন জানিয়েছেন, সনদের আইনি ভিত্তি না হলে এনসিপি তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
-
সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া: দলটির দাবি, সংস্কার আলোচনা শেষ করে বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে, এরপর গণভোট করতে হবে। এর আগে আদেশ জারিরও দাবি জানানো হয়েছে।
-
নোট অব ডিসেন্ট: আখতার হোসেন এও দাবি করেন যে, সনদ সর্বসম্মতভাবে বাস্তবায়ন হয়ে গেলে এতে আর 'নোট অব ডিসেন্ট'-এর কার্যকারিতা থাকবে না।
সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপি'র পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল শনিবার সকাল দশটার কিছু পরে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে ঐকমত্য কমিশনে এসেছিল।
ইউ





