
ফাইল ছবি
সরকার কর্তৃক দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত শিক্ষক’ নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার দাবিতে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে কয়েকটি ইসলামী দল। তারা এ-ও দাবি করছে যে, অবিলম্বে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। তাদের দাবি মানা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এটা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ করে গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র। তারা আরও বলছে, আগে মুসলিম হতে হবে এবং অপসংস্কৃতি উৎপাটন করতে হবে।
২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) এই বিজ্ঞপ্তি বাতিলের প্রচার-প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে নারীপক্ষ।
সঙ্গীত ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। সঙ্গীত কাউকে ধার্মিক বা অ-ধার্মিক তৈরি করে না। সঙ্গীত কোনো অপসংস্কৃতি নয়। সঙ্গীত কখনো মানুষের মনে বিদ্বেষও তৈরি করে না বরং সঙ্গীত মানুষকে সংস্কৃতিমনা ও সংবেদনশীল হতে শেখায়। সকল সঙ্কীর্ণতা-নিষ্ঠুরতা কাটিয়ে মনোজগতের কোমলতা, নমনীয়তার সম্প্রসারণ ঘটাতে এবং অনেক বেশি মানবিক হয়ে উঠতে সহায়তা করে, যা শিশুর ইতিবাচক মানসিক গঠনে অত্যন্ত সহায়ক।
অনেক দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিখানো হয়, যেমন: তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার। সেসব দেশের শিশুরা কেউ ধর্মবিদ্বেষী বা অপসংস্কৃতিবান নয়।
সুতরাং, নারীপক্ষ সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগকে স্বাগত জনাচ্ছে এবং কোনরকম অপ-প্রচার বা চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানাচ্ছে। সেইসাথে, নারীপক্ষ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাধ্যমতো সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দিচ্ছে।
ইউ