
ফাইল ছবি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ অভ্যাস অজান্তেই মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। মস্তিষ্ক মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হওয়ায় এর সুস্থতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে আমরা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে এমন ১০টি অভ্যাস ও সেগুলো থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখতে সচেতনতা অপরিহার্য। অনেকেই জানেন না যে দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ অভ্যাস ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এসব অভ্যাস থেকে মুক্তির উপায় জানা থাকলে সহজেই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব। নিচে এমনই ১০টি ক্ষতিকর অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো...
১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
অনিদ্রা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে, স্মৃতিশক্তি কমায় এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য জরুরি।
২. ধূমপান
ধূমপান রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত করে, স্ট্রোক ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করলে মস্তিষ্কসহ সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
৩. একাকিত্ব
সামাজিক যোগাযোগ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। নিয়মিত বন্ধু-পরিজনের সাথে সময় কাটালে ডিপ্রেশন ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে।
৪. শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ৩০ মিনিট হাঁটলেই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
৫. অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ
প্রয়োজনের বেশি খাওয়া মস্তিষ্কের কোষের জন্য ক্ষতিকর। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও ক্যালোরি কন্ট্রোল মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
৬. জাঙ্ক ফুড
ফাস্ট ফুড মস্তিষ্কের লার্নিং ও মেমরি সেন্টারকে সংকুচিত করে। টাটকা ফল-সবজি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
৭. হেডফোনে অতিরিক্ত আওয়াজ
৯০ ডেসিবেলের বেশি আওয়াজ শ্রবণশক্তি নষ্ট করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়ায়। ৬০% ভলিউমে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার নিরাপদ।
৮. অন্ধকারে থাকা
প্রাকৃতিক আলোর অভাব ডিপ্রেশন ও কগনিটিভ ডিজঅর্ডার তৈরি করে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যের আলো মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়।
৯. নেতিবাচক চিন্তা
দীর্ঘস্থায়ী নেগেটিভ থটস মস্তিষ্কে টক্সিক প্রোটিন জমা করে। পজিটিভ থিংকিং ও মেডিটেশন মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে।
১০. স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা ডিপ্রেশন চিকিৎসা না করালে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। নিয়মিত হেলথ চেকআপ জরুরি।
পরামর্শ:
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান, সুষম খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখুন এবং মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন করুন। কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইউ