
ছবি সংগৃহীত
পরিবারে মেয়ের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক যত বেশি সৎ, উন্মুক্ত ও বোঝাপড়াপূর্ণ হবে, মেয়ের আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দক্ষতা তত বৃদ্ধি পাবে। এটি শুধু সন্তানকেই নয়, পুরো পরিবারকেও সুস্থ ও মিলিত রাখে।
আজকের ব্যস্ত জীবনে বাবা-মায়ের সঙ্গে মেয়ের যোগাযোগ কমে যায়, কিন্তু নিয়মিত সময় দেওয়া, বোঝাপড়া করা ও সহানুভূতিশীল হওয়া সম্পর্ককে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। খোলা আলোচনা, মানসম্মান দেখানো এবং একসাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী করা সম্ভব।
মূল পরামর্শগুলো
১. খোলা যোগাযোগ রাখুন
-
মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন, তার অনুভূতি শোনার চেষ্টা করুন।
-
বাবা-মায়ের অভিমত ও মেয়ের মতামতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
২. মানসম্মান দেখান
-
প্রতিটি মতামত গুরুত্ব সহকারে নিন।
-
মেয়েকে স্বাধীন চিন্তা করার সুযোগ দিন, নিজেকে সীমিত মনে করতে দেবেন না।
৩. গুণগত সময় কাটান
-
একসাথে বই পড়া, খেলাধুলা, হাঁটাহাঁটি বা হবি শেয়ার করা সম্পর্ক দৃঢ় করে।
-
ছোট ছোট মুহূর্তও সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে পারে।
৪. আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলুন
-
মেয়েকে ভুল করার সুযোগ দিন, এতে সে শিখতে ও বিকশিত হতে পারে।
-
গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত সীমার প্রতি সম্মান দেখান।
৫. পজিটিভ উদাহরণ হোন
-
নিজের আচরণ দিয়ে মেয়েকে ভালো মূল্যবোধ শেখান।
-
সমস্যা সমাধানে ধৈর্য এবং যুক্তি ব্যবহার করুন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক যত বেশি উন্মুক্ত ও সহযোগী হবে, মেয়ের আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক দক্ষতা ততই বৃদ্ধি পাবে।
সঠিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হয় এবং মেয়ের মানসিক ও ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা পাওয়া যায়।
ইউ