
ফাইল ছবি
কিংবদন্তি লোক শিল্পী, লালন সম্রাজ্ঞী খ্যাত ফরিদা পারভীন-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক শোক বার্তায় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ফরিদা পারভীন-এর মৃত্যুতে আবহমান বাংলার লোক সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বড় ধরনের শূণ্যতা তৈরি হলো।
শোক বার্তায় উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরে জন্ম নেয়া ফরিদা পারভীন ছোট থেকেই সঙ্গীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। বিভিন্ন শহরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন কাটে তার। মাগুরায় থাকা অবস্থায় তার গানে হাতেখড়ি হয়। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শেখার নজরুল সঙ্গীত শিখতে শুরু করেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে গুরু মোকছেদ আলী সাঁই-এর কাছে লালন গীতি শেখা শুরু করেন ফরিদা পারভীন।
মূলত লালন গীতির শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও, আধুনিক গান ও দেশাত্মবোধক গান গেয়েও খ্যাতি পেয়েছেন ফরিদা পারভীন। তার গাওয়া "এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা-সুরমা নদী তটে" এবং "তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম" গান দুটি এখনও শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে, আশির দশক থেকে তিনি মূলত লালন গীতিকেই প্রধান অবলম্বন করে নেন। লালন সাঁইয়ের গানের মাধ্যমে তার জীবনাদর্শ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ফরিদা পারভীন-এর বিশেষ অবদান রয়েছে।
২০২৪ সাল থেকেই কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে গেছেন তিনি। তবে, আইসিইউ থেকেও আবারও ফিরে এসেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফরিদা পারভীন।
কিংবদন্তি লোক শিল্পী, লালন সম্রাজ্ঞী খ্যাত ফরিদা পারভীন-এর মৃত্যুতে তাঁর পরিবার ও শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন উদীচীর নেতৃবৃন্দ।
ইউ