
ফাইল ছবি
সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে মাত্র পাঁচ বছরেই বাংলাদেশকে "স্বর্ণের খনিতে" রূপান্তর করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য
-
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত “ব্যবসার ভবিষ্যৎ: উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
-
উপদেষ্টা বলেন, দেশের কাঁচামালের ঘাটতি জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বড় অবদান রাখতে পারে।
-
তার মতে, লেবার প্রডাক্টিভিটি, ইউটিলিটি প্রপোরশন, লজিস্টিক এক্সিলেন্স, কস্ট টু ফিন্যান্স, এক্সেস টু ফিন্যান্স ও এক্সেস টু মার্কেট নিশ্চিত করতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজ হবে।
বাজার ব্যবস্থাপনা ও চ্যালেঞ্জ
-
তিনি উল্লেখ করেন, নিত্যপণ্যের দামের নিয়ন্ত্রণে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গত রমজানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণে সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক ছিল, ফলে নিত্যপণ্যের দামও স্থিতিশীল ছিল।
-
গণঅভ্যুত্থানের পর বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
-
শেখ হাসিনার পতনের সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।
-
বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছিল।
-
বর্তমানে দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।
-
এ অগ্রগতির কৃতিত্ব তিনি দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব ও সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারকে।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
-
উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরের শাসনে “ক্রোনিস” তৈরি হয়েছিল, যারা অর্থনীতিতে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা না রেখে বরং বাজার ব্যবস্থাপনাকে অস্থিতিশীল করেছিল।
-
ভবিষ্যৎ সরকার যদি সমন্বিত উদ্যোগ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাজার পরিচালনা করে, তবে সম্পদের সুষম বণ্টন এবং শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা গবেষণা ব্যুরো আয়োজিত এই সম্মেলনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন এবং উপদেষ্টাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
ইউ