
ফাইল ছবি
লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ও ‘লালনকন্যা’ খ্যাত ফরিদা পারভীনের প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জানাজা ও দাফনের জন্য তার মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হবে।
প্রতিবেদনের মূল পয়েন্টসমূহ:
-
শেষ শ্রদ্ধা:
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদা পারভীনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানান। -
জানাজা ও দাফন:
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে। বাদ জোহর জানাজা শেষে তার ইচ্ছানুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে মা–বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। -
পরিবারের বক্তব্য:
শিল্পীর ছেলে ইমাম নাহিল জানিয়েছেন, ঢাকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে দাফন সম্পন্ন করা হবে। -
মৃত্যুকালে বয়স:
ফরিদা পারভীন ৭০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। -
সংগীতজীবন:
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরে জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর সংগীতজীবন শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গাইলেও তিনি মূলত লালনগীতির মাধ্যমেই দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন। -
পুরস্কার ও সম্মাননা:
-
১৯৮৭ সালে একুশে পদক
-
১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সেরা প্লেব্যাক শিল্পী)
-
২০০৮ সালে জাপান সরকারের ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার
-
-
অবদান:
বাংলার লোকসংগীত, বিশেষ করে লালনের দর্শন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ। তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইউ