ফাইল ছবি
আমাদের মুশফিকুর রহিম যখন হাসপাতাল বানানোর জন্য তার ব্যাট নিলামে তুলেছেন তখন পাকিস্তান ক্রিকেটের সাবেক অলরাউন্ডার শাহীদ আফ্রিদি মুশফিকের ব্যাট কিনে নিয়েছিলেন দুই কোটি টাকায়। এটাকে আমি আফ্রিদির মহানুভবতা বলব। এই কাজটি করে শাহীদ আফ্রিদি তার মহান মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্বে তো বহু ক্রিকেটার আছেন। মুশফিকের ব্যাট দুই কোটি টাকা দিয়ে কেনার বিরল মানসিকতা কেউ কি দেখাতে পেরেছেন? পারেননি।
ক্রিকেটারদের মধ্যে মানবিক মন খুব কমই দেখা যায়। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে তারা অভ্যস্ত। সমাজসেবা বা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় কই তাদের? বেশরভাগই কমার্শিয়াল মাইন্ডের। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটের সাবেক লিজেন্ড শাহীদ আফ্রিদি অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম। তিনি যে পুরোদস্তুর একজন সমাজসেবক তা নতুন করে বলার আর প্রয়োজন নেই। করোনাভাইরাসের সময়ও তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মানুষকে সাহায্য করতে। শো অফ করেননি। আজও তিনি সেবামূলক কাজে জড়িত আছেন। মসজিদ মন্দিরে খাবার বিতরণ করেন। আফ্রিদি তার কর্মকাণ্ডের জন্য সমাদৃত। নিজের উপার্জনের আয়ের সিংহভাগই তিনি দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যয় করেন। এসব কাজে আফ্রিদিকে সহায়তা করেন তার স্ত্রী নাদিয়া আফ্রিদি। মামাতো বোন নাদিয়াকে বিয়ে করেছেন শাহীদ আফ্রিদি।
মানুষের সেবায় কোথায় কত টাকার চেক অথবা নগদ অর্থ যাবে তার পুরো দায়িত্ব স্ত্রী নাদিয়ার উপর। "নাদিয়া খুব সুন্দরভাবে এই বিষয়গুলো মেনটেইন করেন"--বলেছেন আফ্রিদি। পাকিস্তানি এই সাবেক অলরাউন্ডার তাঁর আত্মজীবনী "দ্যা গেম চেঞ্জার"-এ লিখেছেন, কন্যাসন্তান পরিবারে সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এটা অবশ্য তাঁর চেয়ে ভালো আর কেই–বা জানে! কন্যাসন্তানদের প্রসঙ্গে আফ্রিদি লিখেছেন, "আমার একেকজন কন্যার জন্ম আমার জীবনে বিপুল সৌভাগ্যই এনেছে। আমার যত ধনরাশি সবই আমার কন্যাদের কারণে। এটা আল্লাহর দেয়া সৌভাগ্য। ''দ্যা গেম চেঞ্জার'' বইটি যখন লিখেছেন, তখন আফ্রিদি -নাদিয়া দম্পতি চার কন্যাসন্তানের বাবা মা ছিলেন। এরপর ২০২০ সালে তার পঞ্চম কন্যাসন্তান আরওয়া আফ্রিদির জন্ম হয়। আফ্রিদির পাঁচ কন্যার নাম- আকসা, আনসা, আজওয়া, আসমারা ও আরওয়া। পাঁচকন্যাকে ধনদৌলত আর সৌভাগ্যের চাবিকাঠি মনে করেন শাহীদ আফ্রিদি।
মিলি সুলতানার ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত...
ইউ