
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
“বাংলাদেশের সংস্কার প্রস্তাবসূমহের কার্যকর বাস্তবায়ন ও জনজীবনের সর্বস্তরে প্রয়োগের উপায় ও চ্যালেন্জ” শিরোনামে কানাডিয়ান সেন্টার ফর বাংলাদেশ ষ্টাডিজ (সিসিবিএস) এর উদ্যোগে টরন্টোতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি টরন্টোর এগলিনটন স্কোয়ার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে কানাডিয়ান সেন্টার ফর বাংলাদেশ ষ্টাডিজ (সিসিবিএস) এর উদ্যোগে বাংলাদেশের সংস্কার প্রস্তাবসূমহের কার্যকর বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের উপায় নিয়ে এক গুরুত্বপুর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কানাডার ম্যাকমাষ্টার ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রফেসর ড. আহমেদ শফিকুল হকের সভাপতিত্বে এবং সিসিবিএসের পরিচালক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মিয়ার স্বাগত বক্তব্যের উপর সেমিনারে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সেমিনারের অতিথি বক্তা ছিলেন কানাডার লরেনটিয়ান ইউনিভার্সিটির সোস্যাল সাইন্সের প্রফেসর ড. সাদিকুল ইসলাম, কানাডার লেইকহেড ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মাহফুজুল হক, সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কানাডার এলগোমা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. নুসরাত আজিজ, ইউনিভার্সিটি ব্রুনাই দারুসসালামের প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ এবং লিডারশীপ ষ্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ।
হোষ্ট প্যানেলে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাফি ভুইয়া, ব্যারিষ্টার কামরুল হাফিজ, মিডিয়া ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈকত রুশদী, সাবেক ছাত্র নেতা ও পিএইচডি অধ্যায়নরত সাহাবুদ্দিন লাল্টু। সবিতা সোমানির সঞ্চালনায় সেমিনারটি সফলভাবে আয়োজনে সহযোগিতা করেন নাহিদ শরীফ, সামসুল ইসলাম ফায়সাল, নয়ন হাফিজ, ইউসুফ সেখ, তৌহিদ নুর এবং গাজী সজল ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সিসিবিএসের পরিচালক আব্দুল হালিম মিয়া সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে হাজারো আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয় না। ক্ষমতাসীনদের ক্ষেত্রে একরকম এবং ক্ষমতাহীনদের ক্ষেত্রে অন্যরকমভাবে প্রয়োগ হয়। কাজেই সংস্কারগুলো যদি সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েও যায় তারপরেও কথা থেকে যায় সেগুলোর প্রয়োগ কিভাবে হবে এবং তা কি দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হবে কিনা। প্রশাসন এবং সমাজের সর্বস্তরে জবাবদিহিতাটা কিভাবে কায়েম হবে, কিভাবে আইনের শাসনের সুফল দেশের ছোট বড় সকল মানুষ সমানভাবে বৈষম্যহীনভাবে ভোগ করবে!
সেমিনারের কী-নোট স্পীকার ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন সংস্কার প্রস্তাব আলোচনার আগে, আমাদের জানা দরকার, এইযে বহু মানুষের আত্মাহুতির মাধ্যমে ২৪ এর জুলাই আগষ্টে যে বিশাল রাজনৈতিক একটা পরিবর্তন হলো, সেখানে সংস্কারের চাহিদাগুলো কি ছিল? চাহিদাগুলো আমাদের ভাল করে বুঝা দরকার। চাহিদার তিনটি দিক ছিল, প্রথম চাহিদাটা ছিল, বিগত পনের বছরে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন ছিল সেটার অবসান। চারটি স্তম্ভের উপরে এই পনের বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মত বাংলাদেশের মানুষের উপর চেপে বসেছিল বলে আমি মনে করি। প্রথমটা হলো জবাদদিহিতার উর্ধে একটা প্রধান নির্বাহী।
দ্বিতীয় স্তম্ভটা ছিল সেই জবাবদিহিতার উর্ধে প্রধান নির্বাহীর মত আবার ছোট ছোট আঞ্চলিক যেটাকে আমি বলবো এমপি রাজ। প্রতিটা সংসদীয় আসনে এমপির অবস্হান ছিল অনেকটা প্রধান নির্বাহীর মত, জবাবদিহিতার উর্ধে, যারা সবকিছুই কন্ট্রোল করেছে। সেটা স্হানীয় সরকার হোক পুলিশ হোক, সবকিছুতে।
তৃতীয় স্তম্ভটা হলো আমাদের আমলাতন্ত্র, আমলা এবং পুলিশ প্রশাসনের অতিমাত্রায় পার্টিজান ব্যবহার। চেইন অব কমান্ড ভেংগে দেয়া, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হয়তো এসপির সাথে কথা বলছে, এই যে চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে একটা যে প্রাতিষ্ঠানিক ডিসিপ্লিন সেটা একেবারেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল যাতে করে কারো ইচ্ছের উপর সবকিছু চলে। এই চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা, প্রাতিষ্ঠানিক নর্মসগুলো ফিরিয়ে এনে প্রতিস্হাপন করা, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান যদি আমরা দেখতে চাই, এইটাও একটা গুরুত্বপুর্ণ স্তম্ভ।
চতুর্থ যেটা ছিল, আরবিটারিরি ডিটেনশন,মানে গুম খুন ইত্যাদি, একটা ক্লাইমেট অব ফেয়ার তৈয়ার করা যেটা একটা বড় ধরনের মানুষের মনের মধ্য ভয় ধরিয়ে দিয়ে দাবিয়ে রাখা। এগুলোই ছিল আমাদের ২০২৪ এ যে পরিবর্তন আমরা চাইছি তার অন্যতম একটা চাহিদা।
দ্বিতীয় যে চাহিদা ছিল, সেটাও খুবই গুরুত্বপুর্ণ, গত পনের বছর মানুষ সেই অর্থে তার নিজের প্রতিনিধিদের বেছে নিতে পারে নাই। কাজেই অবশ্যই একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিসন মানে একটা ফেয়ার নির্বাচনের বিষয়টাও অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এবং সেটার জন্যে নির্বাচনী পরিবেশটাও নিশ্চিত করা, এটাও একটা গুরুত্বপুর্ণ চাহিদা।
তৃতীয় যে চাহিদা আমি উল্লেখ করবো সংস্কৃতির একটা বিষয়, যে আমাদের একটা জাতীয় ঐক্যের একটা মুড দরকার। একটা ইনক্লুসিভ সোসাল এনভায়রনমেন্ট দরকার। মানে আমাদেরকে অন্তর্ভুক্তিমুলক পরিবেশ না হলে একটা সামাজিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করা খুব কঠিন। কাজেই সংস্কার চাহিদা বুঝাটা খুব জরুরী।
সংস্কারের অবশ্যই আরো একটা বিষয় ছিল সেটা হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনীতির যে ভয়ানক ধ্বস নেমেছিল সেটাতে শৃংক্ষলা ফিরিয়ে আনা।
এই যে সামষ্টিক অর্থনীতির ধ্বস এটার জন্যে কিন্তু সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজন হয় না, এটা প্রশাসনিক পদ্ধতিতেই এখানে পরিবর্তন আনা সম্ভব কিন্তু আমি যতদুর দেখছি এ পর্যন্ত এইযে অতি ক্ষমতায়িত প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টা খুব গুরুত্ব পেয়েছে, পার্লামেন্টের ধরন কী হবে, নির্বাচনের পদ্ধতি খুব গুরুত্ব পেয়েছে কিন্তু একই সাথে মানুষের যে চাহিদার অন্যান্য বিষয় যেগুলো ছিল, স্হানীয় সরকারের সংস্কার, পুলিশ সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কার, নারী বিষয়ক সংস্কার, এইগুলো কিন্তু সেরকম নজরের মধ্যে নেই, ওগুলো এক অর্থে কমিশনের রিপোর্ট জমা হয়েছে সেখানে প্রশাসনিকভাবে কিছু কিছু এগুচ্ছে বটে কিন্তু ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম ফোকাস হচ্ছে সুনির্দিষ্ট একটা জায়গার মধ্যে সেটা হচ্ছে সাংবিধানিক বিষয়গুলো এবং নির্বাচনী বিষয়গুলো। এবং সেই জন্যে আন্যান্য যে বিষয়গুলো যেটা বলছিলাম, কর্তৃত্ববাদী শাসনের যে অন্য স্তম্ভগুলো ঠিক ঐভাবে সংস্কারের আলোচনায় প্রাধান্য পায় নি সেটা একটা সমস্যা হিসেবে আমি দেখছি ভবিষ্যতের জন্যে। পুরো প্রক্রিয়ায় এক ধরনের এলিটিজম আমরা দেখতে পেয়েছি।
আমরা দেখতে পাচ্ছি গ্রাজুয়েলি আমাদের এক ধরনের কনফ্রন্টেশনাল এটমসফেয়ার তৈরী হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের তো ভিত্তি আছে, তার আইনি একটা ম্যান্ডেট আছে, কিন্তু আপনারা কানাডার কথাও বলছিলেন, কিন্তু ম্যান্ডেট হ্যাস টু বি এক্সারসাইজড, পাওয়ার হ্যাজ টু বি এক্সারসাইজড, রিসপনসিবিলিটি হ্যাজ টু বি এক্সারসাইজড, এই এক্সারসাইজড হবার যে বিষয়টা সেখানে আমরা কিন্তু বেশ বড় ধরনের ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি, মানুষ একটা সুস্হ উত্তরণ চায়, অর্থনীতির একটা নুতন ভিত্তি তৈরী হোক সেটা চায় গনতান্ত্রিকভাবে তারা কর্তৃত্ববাদী শাসনের সব পিলারগুলোর অবসান চায় কিন্তু সেটা করার জন্যে তারা একটা যে প্রক্রিয়া, বিশেষ করে যে রাজনৈতিক খেলোয়ারেরা মাঠে আছেন তাদেরকে একত্রিত করার, তাদেরকে এক জায়গায় নিয়ে আসার যে সক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের যে খুব গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব, সেই চ্যালেন্জগুলো কিন্তু রয়েই গেছে।
আমরা আশা করবো বাংলাদেশের যে বিশাল সম্ভাবনা আছে, আমাদের অনেক পরিশ্রমি মানুষ আছে, এতকিছুর মধ্যেও অর্থনীতির চাকাটা কিন্তু চালিয়েই যাচ্ছে সেই সাধারণ মানুষেরা, সেই কৃষকেরা সেই সাধারণ ভোক্তারা, সেই নারীরা, সেই তরুনেরা সেই চাহিদার প্রতি আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই চাহিদার প্রতি জোরালোভাবে নজর দেয়াটা দরকার, যাতে করে ২০২৫ এর যে বাদবাকী যে সময়টা আছে, সুস্ঠভাবে যেন একটা সমাধানের দিকে আমরা এগুতে পারি।
কানাডার লরেনটিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সাদিকুল ইসলাম কয়েক বছর আগের ওয়ার্ল্ড ভ্যালু সার্ভের কথা উল্লেখ করে বলেন, ৭১% মানুষ মনে করে সংস্কার দরকার। ৫৪% মানুষ পলিটিশিয়ানদের বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ শিশু রাস্তায় বাস করে। লেবার রাইটসে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ ১০টি দেশের মধ্যে একটি। শিক্ষা, স্বাস্হ্য সব জায়গায় বিশাল অসমতা। দশ বারো বছরের শিশুরা স্কুলে না গিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।
সাবেক এমপি ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জাতীয় ঐক্যমতকে দেখিয়ে বাংলাদেশ এক সময় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। ভিন্নমতেরও একটা সৌন্দর্য রয়েছে। কাজেই ভিন্নমতকেও আমাদের গুরুত্ব দেয়া উচিত। তিনি সেমিনারের স্বাগতিক বক্তা আব্দুল হালিম মিয়ার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের কথা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ আর্টিকেলে আছে, জীবন ও ব্যক্তির স্বাধীনতা ও অধিকার আর্টিকেল ৩২য়ে এবং গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ আর্টিকেল ৩৩ তে রয়েছে। তিনি বলেন এই জিনিষগুলো পরিবর্তনের জন্য যে মনোজগত তৈরী হয়েছে তা যদি সত্যিই পরিবর্তন করতে চাই তাহলে শুধু রাজনীতিবিদদের দিয়ে যেমন হবে না, শুধু আমলাদের দিয়ে হবে না, শুধু একাডেমিকদের দিয়ে হবে না, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কানাডার লেইকহেড ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম দার্শনিক এরিষ্টটলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন কোন সমাজে যদি বৈষম্য বিরাজ করে তবে সেখানে বিপ্লব হবে। বাংলাদেশে সংস্কার প্রস্তাবসুমহ চার রকমভাবে সফল বাস্তবায়ন হতে পারে: গণভোট, নির্বাহী আদেশে প্রক্লেমশন, সংবিধান সংশোধন, নুতন করে গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে। ড. সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, আনুপাতিক ভোটের ব্যবস্হা চালু হলে তা খুবই খারাপ নজির তৈরী হবে বাংলাদেশের জন্যে।
ড. সিনহা এম এ সাঈদ বলেন, এত দলের ডাকার প্রয়োজন ছিল না। যাদের রাষ্ট্র পরিচালনার সক্ষমতা আছে তাদের সাথে আলোচনা করলেই হয়ে যেত। তিনি প্রশ্ন রাখেন কেন দেশে বারবার সামরিক শাসন আসে? কেন বারবার অভ্যূত্থান হয়? বাংলাদেশে দরকার রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার। তিনি সংস্কার প্রস্তাবসুমহ বাস্তবায়নের জন্যে সকল মহলের আন্তরিকতার উপর গুরুত্ব দেন।
বাংলাদেশ সরকারের শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক শ্রমিকের মর্যাদা দেবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি সকল দলের মেনিফেস্টোতে সংস্কার প্রস্তবাসুমহ সংযোজনের আহবান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে এগুলো থাকলে তাদেরকে নির্বাচন পরবর্তী চাপ দেয়া সম্ভব হবে যদি বাস্তবায়নে তারা গরিমসি করেন।
কানাডার আলগোমা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. নুসরাত আজিজ বলেন, বর্তমান প্রজন্ম এ আই প্রজন্ম। এ প্রজন্মের জন্য অনেক কিছু নুতন করে ঢেলে সাজাতে হবে কারণ প্রজন্মটাই নুতন প্রজন্ম। তাদের থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের। কিন্তু সেটার জন্য আমাদের অবশ্যই ইনক্লুসিভ এনভায়রনমেন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
জবান ম্যাগাজিনের সম্পাদক তরুণ চিন্তক রেজাউল করিম রনি বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম আর ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতি দেখতে চায় না। তারা একটা নাগরিক ভিত্তিক রাষ্ট্র দেখতে চায়।
সভাপতির ব্ক্তব্যে ম্যাকমাষ্টার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমেদ শফিকুল হক বলেন আমাদের দেশে আইন আছে, সংসদ আছে, দুদক আছে, অনেক রকম কমিশন আছে যাদের কাজ করার কথা, কিন্তু গভর্নেন্স হার্ডওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচারটা ঠিক আছে কিন্তু সফট ওয়ার বা যারা এগুলোকে পরিচালনা করেন সেটা এগুলোর সাথে কনসিসটেন্ট নয়। ইনকম্পিটেবল হবার জন্যে অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠানেরও ফলাফল দেখা যায় না। তিনি আরো বলেন, পার্লামেন্টে আইন হবে প্রথম ধাপ কিন্তু প্রয়োগ হবে অনেক নীচু লেভেলে যেটার বাস্তবায়নের জন্যে কী কী ব্যবস্হা নেয়া হবে সেটাই হলো বড় কথা।
সবশেষে সিসিবিএসের পরিচালক আব্দুল হালিম মিয়া সভার সমাপ্তি ঘোষণা করে উপস্হিত সবাইকে মধ্যাহ্ণ ভোজের আমন্ত্রণ জানান।
ইউ