
ছবি সংগৃহীত
মিশর কিংবা চিলি নয়, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন মমির সন্ধান মিলল এশিয়ায়। গবেষকেরা দাবি করেছেন, ভিয়েতনাম ও চীনে পাওয়া নিদর্শনগুলো এতদিনের প্রচলিত ইতিহাস পাল্টে দিতে চলেছে।
মমির নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা। তবে সেই ধারণা ভেঙে দেয় চিলির প্রায় ৭০০০ বছরের পুরনো মমি। এতদিন পর্যন্ত এটিকেই মৃতদেহ সংরক্ষণের সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন ধরা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক আবিষ্কারে জানা যাচ্ছে, চীন ও ভিয়েতনামে পাওয়া মমি তৈরির নিদর্শন তার থেকেও অনেক পুরনো।
চীনের মাটিতে মিলেছে প্রায় ৯০০০ বছরের পুরনো দেহ সংরক্ষণের প্রমাণ। আর ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত মমি অন্তত ১৪,০০০ বছরের পুরনো, যা বিশ্বের ইতিহাসে এ পর্যন্ত প্রাচীনতম। গবেষকেরা ইন্দোনেশিয়াতেও এমন দেহ সংরক্ষণের প্রমাণ পেয়েছেন।
২০১৭ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আট বছর ধরে চালানো খনন ও গবেষণায় চীন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ১১টি স্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে মোট ৫৪টি কঙ্কাল। প্রতিটি কঙ্কালেই দেখা গেছে বিশেষ ভঙ্গিমায় সমাধিস্থ করার প্রমাণ—দেহ কুঁকড়ে রাখা, হাঁটু ভাঁজ করা অবস্থায়। কঙ্কালগুলির কিছু হাড়ে পোড়ার দাগও পাওয়া গেছে, যা গবেষকদের মতে দীর্ঘ সময় ধরে কম তাপে পোহানোর ফল।
প্রাচীন সমাজে দেহ সংরক্ষণের নানা পদ্ধতি ছিল—তাপ, ধোঁয়া, নুন বা বরফে রাখা। ভিয়েতনাম ও চীনে পাওয়া প্রমাণগুলো দেখাচ্ছে, নব্য প্রস্তর যুগেরও আগে, শিকারি-সংগ্রাহক সমাজেই মৃতদেহ মমি করে রাখার প্রথা চালু ছিল।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই আবিষ্কার মানবসভ্যতার প্রাচীন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের নতুন ব্যাখ্যা দেবে। আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউ