
ছবি সংগৃহীত
উচ্চকক্ষের বিষয়ে একমত না হলেও ভবিষ্যতে কোনো সরকারপ্রধানের 'দানব' হয়ে ওঠার পথ রুদ্ধ করতে 'চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স' নিশ্চিত করার প্রতিষেধক হিসেবেই উচ্চকক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তার মতে, উচ্চকক্ষ থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো ১৫০০ সংশোধনী করা প্রায় অসম্ভব হতো, যা তাকে দানবে পরিণত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সংসদে প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ বিষয়ক সেমিনারে বদিউল আলম মজুমদার এই মন্তব্য করেন।
প্রতিবেদনের মূল বিষয়সমূহ:
-
দানব হওয়া ঠেকাতে প্রস্তাব: বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার মতো কোনো সরকারপ্রধানের 'দানব' হওয়া ঠেকাতে প্রতিষেধক হিসেবেই উচ্চকক্ষের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল।
-
সংশোধনীর মাধ্যমে 'দানবে পরিণত': তিনি দাবি করেন যে ১৫০০ সংশোধনীর মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দানবে পরিণত হয়েছেন। তার মতে, উচ্চকক্ষ থাকলে শেখ হাসিনার পক্ষে এতগুলো সংশোধনী আনা প্রায় অসম্ভব হতো।
-
চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নিশ্চিত করা: উচ্চকক্ষের বিষয়ে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্য না থাকলেও মূলত 'চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স' নিশ্চিত করতেই এটি সুপারিশ করা হয়েছিল।
-
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদ দেওয়ার সুপারিশ: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের রাজনৈতিক কাঠামো বিবেচনায় কমিশন শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে।
-
ঐকমত্যের অভাব: সেমিনারে অংশ নিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না থাকায় বর্তমানে উচ্চকক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।
-
বিএনপির পররাষ্ট্র নীতি: একই সেমিনারে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, তার দল সবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।
ইউ