
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ যে পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন সে পথ যে আত্মআবিষ্কারের পথ, একথা যাঁরা তাঁর কাজে প্রবেশ করেছেন তাঁরাই স্বীকার করেছেন। অনুবর্তীরা ব্যক্তিগত উদ্যম ও আগ্রহে কাজ করেছেন। এ ধরনের কাজে স্বীকৃতি প্রয়োজন, নির্দেশনা প্রয়োজন, প্রয়োজন নৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।
আলোচকদ্বয় বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সাধনার ধারাকে তাঁর অনুবর্তীরা বহন করে আমাদের পুথিসাহিত্যকে বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ড. মুহম্মদ এনামুল হকসহ প্রণম্য গবেষকেরা সাহিত্যবিশারদের অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা অনুযায়ী বাংলা সাহিত্যের সামগ্রিক রূপ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়ে গেছেন বললেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা।
বাংলা একাডেমি আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনারে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা একথা বলেন।
সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. মোঃ সেলিম রেজা। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও তাঁর অনুবর্তীরা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক নেহাল করিম এবং অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মাহবুবা রহমান।
অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, যে ব্যাপক সংগ্রহ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের হাতে ছিল এবং তৎকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগৃহীত হয়েছিল, সেসবের সম্পাদনা, পাঠন—পাঠন—বিশ্লেষণ নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক, ভাষাতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক নানা ধরনের কর্মকাণ্ড হতে পারতো, যদিও তার খুব অল্পই হয়েছে কিন্তু আবদুল করিম ক্ষেত্রটিকে একেবারে নিষ্ফলা ফেলে যাননি। তাঁর যাঁরা অনুবর্তী, তাঁদের সংখ্যা বেশি না হতে পারে কিন্তু তাঁরা ক্ষেত্রটিকে কর্ষণ উপযোগী রেখেছেন। ফুলে ফলে সুশোভিত করার চেষ্টা করেছেন।
ড. মো. সেলিম রেজা বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সাধনা আমাদের গবেষণার জগতকে সমৃদ্ধ করেছে, সমাজকে আলোকিত করেছে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের কাজ শুধু সাহিত্যের কাজ নয়, একাধারে তা ইতিহাসেরও কাজ। তাঁকে অনবরত পাঠ করলে আমরা এই অদম্য সাধকের জেদ ও লড়াইয়ের মাত্রা অনুভব করবো। তিনি সামগ্রিকভাবে জাতীয় সাহিত্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় চেতনা বিকাশের জন্য আমৃত্যু নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের কাজের ধারাবাহিকতা অনুধাবন করা যাবে তাঁর অনুবর্তীদের গবেষণা—কাজে।
ইউ