
ফাইল ছবি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৬২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬০৪ জন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৯ জনে। এ সময় মোট শনাক্ত রোগী হয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৬ জন।
বিভাগওয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে—
-
বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৯৬ জন
-
চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১১২ জন
-
ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১১৪ জন
-
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে: ৮৭ জন
-
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে: ১৩০ জন
-
খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১৭ জন
-
ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১৫ জন
-
রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৩৭ জন
-
রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ১৪ জন
-
সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৩ জন
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু এখন সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রকোপ আরও বাড়ে। প্রতিরোধে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে।”
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী মনে করেন, “মশা দমন কার্যক্রমে শুধু জরিমানা আর জনসচেতনতা যথেষ্ট নয়। সঠিক জরিপ ও দক্ষ জনবল দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
প্রেক্ষাপট
২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ওই বছর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।
ইউ