
ফাইল ছবি
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল ১২ অক্টোবর (রবিবার)। সরকার মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেবে। জন্মসনদ নেই এমন শিশুরাও এই কর্মসূচির আওতায় টিকা নিতে পারবে। এই ক্যাম্পেইন ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবেদনের মূল তথ্যগুলো (পয়েন্ট আকারে):
১. টিকার ক্যাম্পেইন ও লক্ষ্যমাত্রা:
-
শুরুর তারিখ: ১২ অক্টোবর (রোববার) থেকে শুরু হবে।
-
টিকার ধরন: দেশে এই প্রথম টাইফয়েডের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে।
-
লক্ষ্যমাত্রা: ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু-কিশোর-কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
সময়সীমা: মাসব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
২. টিকার প্রাপ্যতা ও অনুমোদন:
-
উৎপাদনকারী: টিকাটি তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
-
সরবরাহকারী: সরকার এই টিকা পেয়েছে টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক মঞ্চ গ্যাভি (Gavi) থেকে।
-
নিরাপত্তা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরো আটটি দেশে এটি ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো উদাহরণ নেই।
৩. কারা এবং কোথায় টিকা পাবে:
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান: ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে এক ডোজ করে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
-
অন্যান্যদের জন্য: ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
-
পথশিশু: শহর এলাকার পথশিশুদের টিকা দেবে এনজিওগুলো।
-
কর্মসূচি বণ্টন: ইপিআই প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন দেশের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে এই টিকা দেওয়া হবে।
৪. নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
-
নিবন্ধনের অবস্থা: ইতোমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে এবং নিবন্ধন অব্যাহত আছে।
-
নিবন্ধনের নিয়ম: টিকা গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
-
সনদ ছাড়া নিবন্ধন: যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই বা জন্মনিবন্ধন হয়নি, তাদের জন্যও টিকার নিবন্ধন করা যাবে। এ জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিতে হবে।
-
ভ্যাকসিন কার্ড: নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।
ইউ