
ফাইল ছবি
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় একজন মারমা কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারীপক্ষ। একই সাথে, এই ধর্ষণের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে তিনজন পাহাড়ী তরুণকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
ধর্ষণ ও ন্যায়বিচারের অনিশ্চয়তা
পত্রিকা ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাত নয়টায় গুইমারা উপজেলায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নারীপক্ষ এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া এবং পাহাড়ে নারীদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
-
ধর্ষণের শিকার: গুইমারা উপজেলায় একজন মারমা কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
-
মেডিকেল পরীক্ষার বিলম্ব: ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও ভুক্তভোগী কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় নারীপক্ষ গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
-
জাতিগত নিপীড়নের উদ্বেগ: নারীপক্ষ লক্ষ্য করছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীরা বারবার যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, কিন্তু ন্যায়বিচার প্রাপ্তি আজও অনিশ্চিত। এই ঘটনাকে পুরো নারীসমাজের প্রতি সহিংসতার বার্তা এবং পাহাড় জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছে তারা।
প্রতিবাদ ঘিরে হত্যাকাণ্ড
নারীপক্ষ তাদের বিবৃতিতে ধর্ষণের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে আরও একটি মারাত্মক ঘটনার উল্লেখ করেছে:
-
প্রতিবাদকারী খুন: ধর্ষণের প্রতিবাদ করার সময় তিনজন পাহাড়ী তরুণকে গুলি মেরে খুন করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নারীপক্ষের দাবি ও সংহতি
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নারীপক্ষ খাগড়াছড়ি এবং সকল পাহাড়ী ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে এবং সরকারের প্রতি সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছে:
১. সংহতি জ্ঞাপন: নারীপক্ষ খাগড়াছড়ির মারমা সহ সকল পাহাড়ী এবং আদিবাসীর জনগনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে। ২. নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: পাহাড়ী ও আদিবাসীর অধিকার, মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের দৃশ্যমান ও সচল ভূমিকা দেখতে চাওয়া হয়েছে। ৩. সামরিক শাসন থেকে মুক্তি: সংগঠনটি সামরিক শাসন থেকে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মুক্তি দাবি করেছে।
ইউ