
ফাইল ছবি
নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করে পরিবার, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিজীবনে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিডও সনদের (নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ) ২ ও ১৬ (১)(গ) ধারার ওপর বিরাজমান সংরক্ষণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
নারীপক্ষের বক্তব্য:
-
প্রায় ৪১ বছর ধরে এই দুটি ধারায় সংরক্ষণ বহাল রয়েছে।
-
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সিডও’র নবম ও দশম পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদন একত্রে চূড়ান্ত করলেও সংরক্ষণ বহাল রেখেছে।
-
২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইন সংস্কার করবে।
-
১৬ (১)(গ) ধারায় বিয়ে ও বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
পটভূমি:
-
জাতিসংঘে ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিডও সনদ গৃহীত হয় এবং ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
-
বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিডওতে অনুস্বাক্ষর করে। শুরুতে ২, ১৩ (ক), ১৬ (১)(গ) ও (চ) ধারার ওপর সংরক্ষণ রেখেছিল। পরে ২ ও ১৬ (১)(গ) ছাড়া বাকি দুটি ধারা থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হয়।
নারীপক্ষের প্রশ্ন:
সংগঠনটি বলেছে, “নারীর উপর নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে হলে এই সংরক্ষণ তুলে নেওয়া জরুরি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন এখনো নারীর প্রতি বৈষম্যের মূল বীজ লুকিয়ে থাকা এই দুটি ধারার সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেনি?”
ইউ