ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

English

স্বাস্থ্য

বিশ্ব হৃদপিণ্ড দিবস: স্পন্দন ধরে রাখতে চাই সতর্কতা

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্ব হৃদপিণ্ড দিবস: স্পন্দন ধরে রাখতে চাই সতর্কতা

ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম

২৯ সেপ্টেম্বর, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব হৃৎপিণ্ড দিবস' (World Heart Day)। হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছর এই দিনে দিবসটি পালন করা হয়। ২০২৫ সালের জন্য দিবসটির আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য হলো “Don't Miss a Beat” যার বাংলা ভাবার্থ: 'একটি স্পন্দনও হারানো যাবে না' বা 'প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন' যা হৃৎস্বাস্থ্যের প্রতি ক্রমাগত সতর্কতা ও যত্ন নেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

দিবসের প্রতিপাদ্য ও সচেতনতা

ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সহযোগিতায় ২০০০ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য "Don't Miss a Beat" বা 'একটি স্পন্দনও হারানো যাবে না'

  • মূল বার্তা: এই প্রতিপাদ্যটির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর যে বিপুল সংখ্যক মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে, তার বেশিরভাগই প্রতিরোধযোগ্য। একটিও হৃদস্পন্দন যাতে থেমে না যায়, সেজন্য প্রত্যেকেরই নিজের হৃৎস্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি।

  • সচেতনতার ক্ষেত্র: হৃদরোগের প্রাথমিক সতর্কতা চিহ্নগুলো (যেমন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট) উপেক্ষা না করা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়ার গুরুত্বকে এই প্রতিপাদ্য সামনে এনেছে।

দিবসটি পালন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

হৃদরোগ (Cardiovascular Diseases - CVDs) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর এক নম্বর কারণ। এটি অন্যান্য রোগের তুলনায় হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকিও অনেক বাড়িয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব হৃৎপিণ্ড দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য:

  • মৃত্যুর প্রধান কারণ মোকাবিলা: হৃদরোগ বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ২০.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। প্রায় ৮০% অকালমৃত্যু শুধুমাত্র জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

  • প্রতিরোধমূলক আন্দোলন: এই দিনটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য আন্দোলন। এর লক্ষ্য হলো পরিবার, সমাজ ও সরকারকে একত্রিত করে হৃদরোগ প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করা।

  • স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় উৎসাহ: দিবসটি পালনের মাধ্যমে মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি শারীরিক কার্যকলাপ (যেমন হাঁটা, জগিং), ফলমূল ও সবজিযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং তামাক সেবন ত্যাগ করার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়।

  • প্রারম্ভিক হস্তক্ষেপ: হৃদরোগের ঝুঁকি দ্রুত নির্ণয় এবং সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা এই দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ জীবন বাঁচাতে পারে।

কর্মসূচি ও উদ্যোগ

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে এই দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, র‍্যালি, সেমিনার ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর পরামর্শ দেন।

ইউ

৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরী ধর্ষণ, নারীপক্ষের নিন্দা

গণতন্ত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার

বিশ্ব হৃদপিণ্ড দিবস: স্পন্দন ধরে রাখতে চাই সতর্কতা

ফ্লাইওভার থেকে ট্রাক পড়ে গেল রিকশাচালকের প্রাণ

আনিসুল হকের পিএসের ১১৪ অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

তিন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৩,৬২৯ কোটি টাকা দেবে এডিবি

শীঘ্রই কর্মস্থলে সন্তান নেওয়ার আইনি অধিকার পাচ্ছেন নারী

নভেম্বর থেকে টিসিবির তালিকায় চাসহ ৪ নতুন পণ্য

সাকিবের বিরুদ্ধে অর্থপাচার অনুসন্ধানে নতুন কর্মকর্তা দুদকের

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক

আ.লীগের ২ সাবেক এমপিসহ ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ৭৯তম জন্মদিন

খাগড়াছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ৩ পাহাড়ি নিহত

হাজী সেলিমের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান