
ফাইল ছবি
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে মোট ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আদালতের আদেশ ও লেনদেনের তথ্য
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দের (ফ্রিজ) নির্দেশ দেন।
-
মোট অ্যাকাউন্ট: ১১৪টি।
-
মোট লেনদেন: এসব অ্যাকাউন্টে মোট ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ১৩১ টাকা জমা এবং ৫৬৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে।
-
বর্তমান স্থিতি: হিসাবগুলোতে বর্তমানে মোট ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬ টাকা স্থিতি রয়েছে।
-
নির্দেশনা: আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক হিসাবগুলো স্থায়ীভাবে অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।
অবৈধ উপার্জনের অভিযোগ
আদালতে অ্যাকাউন্ট জব্দের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।
-
ক্ষমতার অপব্যবহার: অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রীর বান্ধবী ও সাবেক পিএস হিসেবে আইনমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
-
অপকর্ম: তিনি আদালতে আসামি জামিন, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্ম করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন।
-
অবৈধ সম্পদ: এই উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয় করেছেন এবং বিদেশে অর্থপাচার করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন।
ব্যাংক হিসাব জব্দের কারণ
আদালতকে জানানো হয়, তৌফিকা করিম মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা (২ (শ), (২৬) ও (১৪)) মতে সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন।
-
প্রয়োজনের কারণ: আদালতকে বলা হয়, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন, অন্যথায় অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর হতে পারে।
-
উদ্দেশ্য: সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধভাবে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইউ