গ্রহ ‘বৃহস্পতি’র নতুন রূপ
এক সময় পৃথিবীর মানুষ গ্রহ ‘বৃহস্পতি’র ব্যাপারে নানা জল্পনাকল্পনা করত। সময়ের সাথে যুগ বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে প্রকৃত বিষয় উন্মোচন হওয়াতে ‘বৃহস্পতি’ নিয়ে মানুষের ধ্যানধারণায় পরিবর্তন হয়েছে। যদিও কয়েক দশক আগেও শিল্পীর তুলির আঁচড়ে গ্রহটিকে ঘিরে নানা জল্পনাকল্পনার রেশ পাওয়া যায়। বর্তমানে আমরা জানতে পেরেছি বৃহৎ গ্রহ ‘বৃহস্পতি’ একটি গ্যাসপূর্ণ গ্রহ। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস মতে, গ্রহটি বিশাল গুরুত্বের বিষয়।
সম্প্রতি বিশ্বের সবথেকে বড় ও শক্তিশালী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ‘বৃহস্পতি’রই অসাধারণ একটি ছবি ধরা পড়েছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) ছবিটি গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) প্রকাশ করেছে।
গত জুলাইয়ে গ্রহ বৃহস্পতির উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর অভূতপূর্ব বর্ণিল আলোকচ্ছটা এবং ঘূর্ণায়মান মেরু কুয়াশার এই ছবি তুলেছে শক্তিশালী এই টেলিস্কোপ।
সেই ছবিতে আমাদের দেখে আসা সেই ‘বৃহস্পতি’ গ্রহের মতো না। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতির বুকে ক্ষতের মতো জ্বলজ্বলে বিশালকার সেই লাল দাগ, যা আসলে একটি ঝড় এবং তার আকার এতটাই বড় যে পুরো পৃথিবীকেও গ্রাস করে ফেলতে পারে। ছবিতে সেই গ্রেট রেড স্পটের আশপাশে দেখা যাচ্ছেন অসংখ্য ছোট ঝড়ের চিহ্ন।
নাসার প্রকাশ করা ছবিগুলোর মধ্যে একটি ওয়াইড ফিল্ড ছবিতে বৃহস্পতিকে ঘিরে থাকা উজ্জ্বল বলয়ের নাটকীয় রূপ ফুট উঠেছে। ছায়াপথগুলোর চকচকে পটভূমিতে ছোট্ট দুটি চাঁদকেও উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জ্যোতির্বিদ ইমকে ডি প্যাটার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা বৃহস্পতিকে এভাবে কখনও দেখিনি। এটা অবিশ্বাস্য। আমরা সত্যিই আশা করিনি যে এই ছবি এত ভালো হবে।’
ছবিতে উঠে আসা গ্রহের বৈশিষ্টগুলো বুঝতে ইনফ্রারেড ছবিগুলোতে কৃত্রিমভাবে সাদা, নীল, সবুজ, হলুদ আর কমলা রঙ দেওয়া হয়েছিল, বলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের গবেষক দল।
ইউ
