
ছবি সংগৃহীত
তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাদের দুই সহযোগী ‘শুটার’ আরাফাত ও শরিফকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানায়।
এর আগে সকাল ৫টার পর কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর এলাকা থেকে একটি গোপন অভিযানে সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। সেনাবাহিনীর এই অভিযানে তিন ঘণ্টা সময় লাগে এবং অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন জব্দ করা হয়।
আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা জানান, গ্রেফতাররা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে সংঘবদ্ধভাবে তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত।
কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুরের সোনার বাংলা মসজিদ সড়কের একটি বাড়িতে দীর্ঘ দেড় মাস ধরে ভাড়া থাকা সুব্রত ও মাসুদের গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী ভোরবেলা চারটি গাড়িতে করে অভিযান চালিয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং নিচতলা থেকে দুজনকে আটক করে।
উল্লেখ্য, সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী একসময় ভারতের মাটিতে আত্মগোপনে ছিলেন। তার সহযোগী মোল্লা মাসুদও বহুদিন কলকাতায় ‘আবু রাসেল মো. মাসুদ’ নামে বসবাস করতেন এবং সেখানে এক ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। এরপর ব্যারাকপুর থানা-পুলিশ ও সিআইডি যৌথভাবে তাকে রিমান্ডে নেয়।
এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও তাদের অস্ত্র উদ্ধার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এ চক্রের বিরুদ্ধে আরও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইউ