
সংগৃহীত ছবি
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, "নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের দরকার তৃণমূলের সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যেভাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন করে থাকে। আমার মনে হয় সময় এসেছে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি নীতিমালা থাকা উচিত। আমাদের এমন একটি নীতিমালা থাকা উচিত যেখানে সরকার এবং বেসরকারি (এনজিও) উভয় সংস্থা জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনের জন্য একসাথে সমন্বয় করবে।"
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নবায়িত
বাংলাদেশে ‘রিনিউড ওমেনস ভয়েস এন্ড লিডারশিপ ’ প্রকল্পের উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ একথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার মান্যবর অজিত সিং বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে আমাদের অঙ্গীকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কানাডা গর্বের সঙ্গে এই উদ্যোগকে সমর্থন করছে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম “ওমেনস ভয়েস এন্ড লিডারশিপ” প্রকল্পটি পুনরায় শুরু করায় গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, লিঙ্গ সমতা কেবল নারীদের বিষয় নয় বরং এটি মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়ার একটি মাধ্যম। এই লক্ষ্য অর্জনে সব অংশীজনের সহযোগিতা ও ঐক্য প্রয়োজন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভিন্নধমী প্রথম নারী সংগঠন নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেলাম।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক মহুয়া আল ফলিয়া বলেন, ১৬টি সংগঠন এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সার্বক্ষণিক আমরা একসাথে ছিলাম। আমরা জেন্ডার সমতার মাধ্যমে নারীর অধিকার বলিষ্ঠ রাখতে পারবো।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রাগসরের নিবাহী পরিচালক ফওজিয়া খন্দকার ইভা, দিনের আলোর হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনা, রাংগামাটি হিল ডিস্টিকের কাউন্সিল মেম্বার নাই ইউ প্রুয়ে মারমা মেরি, এনসিডিডব্লিউর নাসিমা আখতার।
ফওজিয়া খন্দকার ইভা বলেন, তৃণমূলের নারীরা কেন্দ্রবিন্দুতে না থাকলেও তাদেরকে আন্দোলনে সামিল করতে পেরেছি।
নাসিমা আখতার বলেন, তৃণমূলের প্রতিবন্ধী নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাদের সংগঠিত করতে হবে।
বাংলাদেশে কানাডার হাই কমিশন এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫০ টিরও বেশি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে নারী অধিকারভিত্তিক সংগঠন, নারী নেটওয়ার্ক এবং প্রান্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সহ জেন্ডার সমতা আনয়নে তৃণমূলের কণ্ঠস্বর বিষয়ক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে কানাডার হাই কমিশন এই প্রকল্পের জন্য ৯.৭ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (CAD) অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই প্রতিশ্রুতির ঘোষণা আসে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে (৮ মার্চ ২০২৫)। প্রথম ওমেনস ভয়েস এন্ড লিডারশিপ প্রকল্পের সাফল্যের ভিত্তিতে নবায়িত উদ্যোগটি আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করবে। নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি নারী নেতৃত্বাধীন এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলোর জাতীয় আলোচনায় (ন্যাশনাল কনভার্সেশন ) অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে।