
সংগৃহীত ছবি
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষে রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ পাকিস্তানে থেকে গেছেন। কারণ আগামীকাল বুধবার (২৮শে মে) শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর সাকিব আল হাসান হয়তো পাকিস্তান ছেড়েছেন। সাকিব গত বছরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাকিব আর দেশে ফিরতে পারেননি। এমনকি তাকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বিবেচনায় রাখা হয়নি। তবে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান বলছেন, সাকিবের জন্য বাংলাদেশ দলের দরজা সবসময় খোলা।
গত বছরের অক্টোবরে অলরাউন্ডার সাকিব সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে ভারতের বিপক্ষে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছেন। আর ওই ম্যাচের আগেই সাকিব ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে তিনি বিদায় নিতে চান।
কিন্তু রাজনৈতিক কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি। কারণ, সাকিব ছিলেন ৫ই আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। এরপর থেকে সাকিব আর দেশে ফেরেননি। তবে প্রায় ছয় মাস পর সদ্য শেষ হওয়া পিএসএল দিয়ে তিনি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন।
গতকাল সোমবার (২৬শে মে) এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান বলেছেন, ‘সাকিব সব সময় নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় থাকবে। সে যেকোনো দলের জন্য সম্পদ। একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। সে তার বোলিং অ্যাকশন শুধরে ফিরেছে, তাই টিম ম্যানেজমেন্ট তার দিকে নজর রাখবে। নিশ্চয়ই সাকিবের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শেষ হয়নি। নিষেধাজ্ঞার পর মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে সাকিব। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলুক, তারপরই বলা যাবে, সে জাতীয় দলে ফিরবে কি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে জাতীয় দলটি তুলনামূলকভাবে নতুন, চারজন সিনিয়র খেলোয়াড় (সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ) ছাড়াই খেলছে। দলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, এখনকার তরুণদের মধ্যে প্রতিভা আছে, কিন্তু সেটা দেখাতে পারছে না। আমি আগেও বলেছি, তারা যত বেশি খেলবে, ততই উন্নতি করবে। আমরা যেই অবস্থানে আছি, সেখান থেকে শুধু ওপরের দিকেই যাওয়া সম্ভব।’
//এল//