নাগরিক ঐক্যের সেমিনার
নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এবারও ভোট হবে ইভিএমে। ইভিএমের বাটনে টিপ দেবেন একটায়, পড়বে অন্যটায়। ভোট দেওয়ার কোনো রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। ভোটের কোনো গ্যারান্টি নেই। এই ভোট চলবে না। এই সরকার ও ইলেকশন কমিশনের অধীনে ভোটে অংশ করব না।
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নাগরিক ঐক্য আয়োজিত বর্তমান সংকট, দায় এবং সমাধান শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্ম সেতুর উদ্বোধনের আগে দেশে চলমান সমস্যা নিয়ে কেউ আলোচনা পর্যন্ত করতে চাইনি।
আমরা এইসব সমস্যার কথা বারবার তুলে ধরেছি। এজন্য আমাদের বলা হয়েছে, বেশি কথা বলছি। ধমক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অর্থপাচার দেশে চলমান সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এক বক্তব্যে নিজ মুখে স্বীকার করেছেন, দেশের টাকা পাচারে কারা জড়িত তিনি জানেন। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আপনারা তাদের পোষেন, শেয়ার খান। এলএনজি ক্রাইসিস, লোডশেডিং করেছেন। ওরা ঠিকই সুবিধা গ্রহণ করবে কিন্ত কষ্ট পাবে জনগণ।
তিনি বলেন, দেশের লোকাল শহরে ৬-৭ ঘণ্টা বিদুৎ থাকে না। রাজধানীতে লোডশেডিংয়ের এক ঘণ্টার কথা থাকলেও কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টাও করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ বাঁচতে চায়। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চলমান সমস্যার সমাধান হবে, এমন আশ্বাস আর কত?
তিনি বলেন, এক যুগ তো পার হলো। সরকার প্রধানের এমন কিছু নেতাকর্মী আছে, তাদের মুখের কথায় দেশ উন্নয়ন হয়ে যায়। উনারা এমন এমন কথা বলেন যাতে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে, বেতন বাড়ে, প্রোমোশন হয়। এলএনজি ক্রাইসিস, লোডশেডিং, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির সমস্যা যদি ঠিক না হয়, তাহলে এই সরকার ক্ষমতা টিকে থাকতে পারবে না। আজকের বিষয়ে নিয়ে আগামী ২৭ জুলাই রাজপথে মিছিল করবে নাগরিক ঐক্য। এসময়ে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কাওসার, যুগ্ম সম্পাদক ডা. জাহিদুর রহমান, বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
//জ//