
ছবি সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের নিরাপত্তাকে আইনগত কাঠামোর মধ্যে আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীরা হত্যা ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, যা জাতিসংঘও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ কারণে বাংলাদেশের জাতীয় আইনেও বিষয়টির প্রতিফলন থাকা দরকার।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে “জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ (খসড়া)” বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো (পয়েন্ট আকারে):
১. পরিবেশ রক্ষাকারীদের সুরক্ষা:
-
আইনগত নিরাপত্তা: পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের নিরাপত্তাকে আইনগত কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে।
-
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: বিশ্বজুড়ে পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীরা হত্যা ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, যা জাতিসংঘও গুরুত্ব দিচ্ছে।
-
জাতীয় আইনে প্রতিফলন: বাংলাদেশের জাতীয় আইনেও এ বিষয়টির প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।
২. মানবাধিকার কমিশনের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা:
-
বিচার বিভাগের ভূমিকা: মানবাধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা দেখা যায়।
-
খসড়ার মূল্যায়ন: বর্তমান খসড়া অধ্যাদেশটি সামগ্রিকভাবে ভালো, এতে তদন্ত, সুপারিশ, ক্ষতিপূরণ, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, সালিশ ও মধ্যস্থতা—সব উপাদানই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
জরুরি বিষয়: সবচেয়ে জরুরি হলো কমিশনকে কার্যকর ও সক্ষম করা।
৩. সুপারিশ ও সিদ্ধান্তের আইনি প্রভাব:
-
আইনি শক্তি: কমিশনের সুপারিশকে কেবল নৈতিক শক্তি নয়, আইনি প্রভাবসম্পন্ন করতে হবে।
-
বাস্তবায়ন: সালিশ বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যও আইনগত কাঠামো থাকা জরুরি।
৪. খসড়ায় সংশোধনের সুযোগ:
-
সংজ্ঞায় পরিবর্তন: ‘ব্যক্তি’ শব্দের সংজ্ঞায় সরকারি সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা।
-
প্যানেল গঠন: কমিশনের নিজস্ব আইনজীবী প্যানেল গঠন করা।
-
সমন্বয়: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রাখা উচিত।
৫. অন্যান্য আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য:
-
পরিপূরক আইন: প্রস্তাবিত এই আইনটি পুলিশ কমিশন, নারী কমিশন, গুম ও নিখোঁজ তদন্ত কমিশন এবং গণমাধ্যম কমিশনের মতো অন্যান্য আইনের সঙ্গে পরিপূরক হবে।
-
সামঞ্জস্য নিশ্চিতকরণ: এসব আইনের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সামঞ্জস্য এখন থেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সভায় উপস্থিত বক্তারা: সভায় আরও বক্তব্য দেন— ড. আসিফ নজরুল (উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), আদিলুর রহমান খান (উপদেষ্টা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), মো. আসাদুজ্জামান (অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ), সুইজারল্যান্ড ও ডেনমার্ক দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও ডেপুটি হেড অব মিশন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব প্রমুখ।
সভায় আইন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইউ