
ছবি সংগৃহীত
দেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫'-এর খসড়া প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকল রাজনৈতিক দলের কাছে এই খসড়া পাঠানো হয়েছে।
সনদের মূল বিষয়বস্তু
-
প্রেক্ষাপট: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের অঙ্গীকার
-
সংস্কারের ক্ষেত্র: সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন
-
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
সনদে উল্লেখ করা হয়েছে, "১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা, ২০০৯-২০২৪ সময়কালে গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ১,৪০০+ নাগরিকের আত্মত্যাগ এই সংস্কারের পথ প্রশস্ত করেছে।"
আলোচনা প্রক্রিয়া
-
৩৮টি দলের সঙ্গে ৪৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে
-
১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে মতামত নেওয়া হয়েছে
-
৩৫টি দল তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে
পরবর্তী পদক্ষেপ
-
রাজনৈতিক দলগুলোর চূড়ান্ত মতামত গ্রহণ
-
ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্তকরণ
-
আগামী ২ বছরের মধ্যে সংবিধান সংশোধন ও আইনি সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার
গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি:
"এই সনদ বাস্তবায়ন হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের moral দায়িত্ব।" - জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র
প্রতিক্রিয়া:
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে সনদ প্রণয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কিছু দল নির্দিষ্ট ধারায় আপত্তি তুলেছে বলে জানা গেছে।
নোট: সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব হবে, তবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইউ