
ফাইল ছবি
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, "বাংলাদেশের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। এ লড়াই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।"
সোমবার (২৮ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু
-
সন্ত্রাসবিরোধী অঙ্গীকার: "সর্বশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করা হবে"
-
মার্কিন-বাংলাদেশ সম্পর্ক: চলমান শুল্ক আলোচনা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা
-
গণতান্ত্রিক রূপান্তর: আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
-
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: রাজনৈতিক সংস্কারে অগ্রগতি নিয়ে তথ্য বিনিময়
মার্কিন প্রতিক্রিয়া
জ্যাকবসন বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, "২০২৬ সালের শুরুতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।"
প্রসঙ্গত
গত কয়েক মাসে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান তীব্র করেছে সরকার। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা রোধে সাম্প্রতিক মাসে ১০০+ অভিযান চালানো হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয় জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতা রোধে এই সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
উল্লেখ্য: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক সনদ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মাইলফলক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউ