
ছবি সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ স্বাক্ষর শেষে তা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা সম্পর্কে জানতে পারবেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবেদনের মূল অংশ (পয়েন্ট আকারে):
-
সনদ বিতরণের লক্ষ্য: কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদের কপি শুধু স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেই নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানানো হবে।
-
স্বচ্ছতা ও নাগরিক পর্যবেক্ষণ: তিনি উল্লেখ করেন, সনদ বিতরণের উদ্দেশ্য হলো নাগরিকরা যেন বুঝতে পারেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী, তা যেন তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
-
মতভিন্নতার উল্লেখ: আলী রীয়াজ নিশ্চিত করেন যে, জুলাই সনদের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সামান্য ভিন্নমত বা 'নোট অব ডিসেন্ট' রয়েছে, তা সনদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে ভবিষ্যতে কোন প্রস্তাব কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা বোঝা যাবে।
-
সনদ প্রণয়নের প্রক্রিয়া: তিনি জানান, প্রায় এক বছর আগে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছিল এবং সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ প্রণয়ন করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ৮৪টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে।
-
স্বাক্ষর অনুষ্ঠান: স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন এমনভাবে করা হবে যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। যদিও সনদে প্রায় ৪০ পৃষ্ঠার তথ্য রয়েছে, তবে স্বাক্ষরের জন্য কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখা হবে।
-
প্রস্তুতির ঘোষণা: আলী রীয়াজ স্পষ্টভাবে বলেন, কমিশনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে তারা আশাবাদী।
-
সভার প্রেক্ষাপট: জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই জরুরি বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউ