
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর মিরপুরে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ জনের মৃত্যু বিষাক্ত গ্যাসের কারণে হয়নি, বরং তারা আগুনে পুড়েই মারা গেছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনের মূল অংশ (পয়েন্ট আকারে):
-
মৃত্যুর কারণ: ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নিহত ১৬ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু বিষাক্ত গ্যাসে নয়, সরাসরি আগুনে পুড়েই হয়েছে।
-
মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর: তিনি আরও জানান, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর শনাক্তকৃতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ১০টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
-
স্বজনদের ভিড়: নিখোঁজদের সন্ধানে ঢামেক হাসপাতাল এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল কেমিক্যাল গোডাউনের আশেপাশে স্বজনরা ভিড় করছেন। প্রিয়জনদের হারিয়ে অনেকে নির্বাক আবার অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
-
অগ্নিকাণ্ডের বিবরণ:
-
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে মিরপুরের শিয়ালবাড়ির টিনশেড কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে।
-
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং টানা সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
-
ঘটনাস্থল থেকে মোট ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
-
-
শ্রমিকদের আটকা পড়া: ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গোডাউনের ওপরের ভবনের ছাদ টিনশেড ছিল এবং তা তালাবদ্ধ থাকায় গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকরা বের হতে পারেননি, যার ফলে এত বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
-
রাসায়নিকের মজুত ও গ্যাস নির্গমন: গোডাউনে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, ব্লিচিং পাউডারসহ সাত-আট ধরনের রাসায়নিক মজুত ছিল। অগ্নিকাণ্ডের পর এসব রাসায়নিক থেকে ক্লোরিনসহ বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সকালে আশপাশের কয়েকটি গার্মেন্টসের কর্মীরা কাজে যোগ দিলে ধোঁয়ার কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ইউ