
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, "উৎসবমুখরভাবে শুক্রবার আমরা সেখানে যাবো এবং দলিলে সই করবো।" রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ আলোচনার ফসল এই সনদ দেশের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিবেদনের মূল অংশ (পয়েন্ট আকারে):
-
স্বাক্ষর অনুষ্ঠান: প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার (তারিখ উল্লেখ নেই) উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই দলিলে সই করা হবে। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মতের ভিত্তিতে প্রণীত এই সনদকে জাতির সামনে ছড়িয়ে দেওয়া এবং জাতি যেন তা মনে রাখে ও সঞ্চারিত করে।
-
ঐতিহাসিক অর্জন: ড. ইউনূস জুলাই সনদ প্রণয়নকে 'অসম্ভবকে সম্ভব করা' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসেও উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিহাসের অংশ হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
-
সনদ বিতরণের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দেন, প্রণীত দলিলগুলো যেন হারিয়ে না যায়, সেজন্য তিনি চেষ্টা করবেন যেন তা প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে যায়। তিনি সরকার হিসেবে এই 'সঞ্চারণের দায়িত্ব' নেবেন এবং জনগণের কাছে প্রচারের মতো ভাষায় তা প্রচারের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
-
সংরক্ষণের উদ্যোগ: তিনি উল্লেখ করেন, সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর করা বিতর্কগুলো অমুল্য সম্পদ। এগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও ও বই আকারে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে তা হারিয়ে না যায় এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
-
ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা: ড. ইউনূস বলেন, জুলাই সনদ সই হলেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে না, বরং এটি একটি মস্ত বড় অধ্যায়ের সমাপ্তি। তিনি জানান, আরও বহু অধ্যায়ের সূত্রপাত হবে এবং এটি যেন কোথাও হারিয়ে না যায়, সেজন্য পাঠ্যবইসহ নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে।
-
নির্বাচনের ঘোষণা: জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি তাঁর পূর্বের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, "কথার কথা নয়, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।" সরকার নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে সকল পদক্ষেপ নেবে এবং এ বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।
-
উপস্থিত দলসমূহ: বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
-
কমিশনের পূর্ব প্রস্তুতি: এই জরুরি বৈঠকের আগে বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হকসহ অন্যান্য সদস্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ইউ