
ছবি সংগৃহীত
সুখের সন্ধান মানুষ চিরকাল করে এসেছে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে সত্যিকারের সুখ আসে অন্তরের শান্তি আর তৃপ্তি থেকে—যা পাওয়া যায় একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখার মাধ্যমে।
ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রকৃত রিজিকদাতা আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা), আল-রজ্জাক (The Provider)। জীবনে যাদের সঙ্গে দেখা হয়, যে সুযোগ আসে—সবই তাঁরই দান।
ঈমান, তাওয়াক্কুল, শোকর
সুখের মূল চাবিকাঠি হলো—ঈমান, তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা), কৃতজ্ঞতা, আর আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন:
“আল্লাহর ওপর ভরসা করো, আল্লাহই কর্মবিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট।” — সূরা আল-আহযাব (৩৩:৩)
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“ধন-সম্পদ মানে প্রচুর সম্পত্তি নয়, বরং ধন-সম্পদ হলো অন্তরের পরিতৃপ্তি।” — সহিহ আল-বুখারি (৬৪৪৬)
নিজস্ব সময়ে উজ্জ্বল হওয়া
কুরআনে বলা হয়েছে:
“সূর্যের পক্ষে চাঁদকে অতিক্রম করা সম্ভব নয়, আর রাতও দিনের আগে আসে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে চলমান।” — সূরা ইয়াসিন (৩৬:৪০)
এই আয়াত মনে করিয়ে দেয়—যেমন সূর্য ও চাঁদ নিজের সময়ে আলো ছড়ায়, তেমনি আমাদের জীবনেও সবকিছু নির্ধারিত সময়ে ঘটে। তাই অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের পথে এগোনোই উত্তম।
কষ্টও জীবনের অংশ
জীবনে দুঃখ-কষ্ট আসবেই, এমনকি নবী-রাসুলের জীবনেও এসেছে। কিন্তু তারা ধৈর্য, তাওয়াক্কুল আর আল্লাহর পরিকল্পনায় আস্থা রেখে এগিয়ে গেছেন। আল্লাহ বলেন:
“যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” — সূরা আত-তালাক (৬৫:৩)
কৃতজ্ঞতার শক্তি
স্বাস্থ্য, পরিবার, শান্তি—এসব নিয়ামত আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। অথচ আল্লাহ বলেছেন:
“তোমরা কৃতজ্ঞ হলে আমি অবশ্যই তোমাদের আরো বাড়িয়ে দেব।” — সূরা ইবরাহিম (১৪:৭)
সুখের সহজ কিছু উপায়
-
কুরআন পড়া ও চিন্তা করা
-
দ্বীনি জ্ঞান অর্জন
-
প্রতিদিন আল্লাহকে ধন্যবাদ জানানো
-
অনিশ্চিত সময়েও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা
-
ছোট ছোট সৎকর্ম করা
শেষ কথা
ইসলামের মতে, সুখ মানে শুধু হাসি বা আনন্দ নয়—বরং আল্লাহর জন্য জীবন যাপন, তাঁর ফয়সালায় আস্থা, আর প্রতিটি নিয়ামত ও পরীক্ষায় কৃতজ্ঞ থাকা। জীবনের প্রতিটি ঘটনা তাঁর পরিকল্পনার অংশ—এ বিশ্বাসই আনতে পারে স্থায়ী শান্তি ও সুখ। মুসলিমগার্ল ডটকম
ইউ