
ছবি সংগৃহীত
আজকের দিনে নারীদের সবচেয়ে সাধারণ সৌন্দর্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চুল পড়া, আগা ফাটা, খুশকি, অকালপক্বতা ও চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া। নানা ব্র্যান্ডের আধুনিক চুলের যত্নের পণ্য বাজারে থাকলেও, অনেকেই আবার ফিরছেন প্রাকৃতিক সমাধানের দিকে। বিশেষ করে অ্যামলা ও হিবিসকাস (জবা ফুল) তেল এখন চুলের যত্নে অনেক নারীর ভরসার নাম হয়ে উঠেছে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—এই দুই তেলের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে কার্যকর? আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন তেল আপনাকে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঘন চুল।
আমলা তেলের গুণাগুণ
অ্যামলা, যেটিকে আমরা অনেকেই আমলকি নামে চিনি, এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো চুলের গোড়া মজবুত করে, নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে এবং অকালপক্বতা রোধ করে।
-
চুল পড়া কমায়
-
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
-
চুলের গঠন উন্নত করে
-
ফ্ল্যাট, প্রাণহীন চুলে ফিরে আনে প্রাণ
এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছায় এবং ধীরে ধীরে চুল হয়ে ওঠে ঘন ও শক্ত।
হিবিসকাস (জবা) তেলের গুণাগুণ
জবা ফুল শুধু সুন্দরই নয়, এর ভেতরেও লুকিয়ে আছে নানা রকম চুলের যত্নের গুণ। হিবিসকাস তেল চুলে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য আনে এবং চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি চুল দ্রুত গজাতেও সাহায্য করে।
-
এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি
-
মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বাড়ায়
-
খুশকি দূর করে
-
চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে
-
রোদ ও দূষণের ক্ষতি থেকে চুলকে রক্ষা করে
বিশেষ করে যাঁরা বাইরে বের হন বেশি, তাঁদের জন্য হিবিসকাস তেল একটি আদর্শ প্রতিরক্ষা।
কোন তেলটি বেছে নেবেন?
অ্যামলা এবং হিবিসকাস—দুটোই প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ এবং কার্যকর। তবে হিবিসকাস তেলে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন:
-
UV রশ্মি থেকে চুল রক্ষা
-
খুশকি ও চুলের রুক্ষতা দূর
-
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা
-
চুলে কোমলতা ও ঝলমলে ভাব আনা
তাই যাঁরা একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান খুঁজছেন—অর্থাৎ চুল গজানো, খুশকি রোধ, এবং একসঙ্গে কন্ডিশনিং—তাঁদের জন্য হিবিসকাস তেল হতে পারে সেরা পছন্দ।
ঘরে বসেই বানিয়ে নিন হিবিসকাস তেল
আপনি চাইলে খুব সহজে নিজের হাতেই বানিয়ে নিতে পারেন বিশুদ্ধ হিবিসকাস তেল।
পদ্ধতি:
১. কিছু তাজা জবা ফুল সংগ্রহ করুন এবং ছায়ায় ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
২. শুকনো ফুলগুলো গুঁড়ো করে নিন।
৩. নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি কাঁচের জারে ভরুন।
৪. জারটি কয়েকদিন রোদে রাখুন যাতে তেল ভালোভাবে ফুলের গুণাগুণ শোষণ করতে পারে।
৫. ছেঁকে একটি গা darkন বোতলে রেখে দিন, এবং সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
চুলের সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, আত্মবিশ্বাসেরও অংশ। আপনি যদি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ সমাধান খুঁজে থাকেন, তবে হিবিসকাস তেল হতে পারে আপনার রুটিনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী। তবে চুলের প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, তাই শুরুতে পরখ করে দেখা ভালো।
নিজেকে সময় দিন, নিজের চুলকে ভালোবাসুন। কারণ আপনার সৌন্দর্য শুরু হয় আপনার নিজের যত্ন থেকেই। ডেইলি জাগরান
ইউ