
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে দম্পতিদের জন্য গ্রিন কার্ড প্রাপ্তির শর্ত আরও কঠোর করা হয়েছে। ভুয়া বিবাহের মাধ্যমে অভিবাসন রোধে নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা সংস্থা (ইউএসসিআইএস) নতুন এক নির্দেশনা জারি করেছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। নতুন এ নীতিমালায় বৈবাহিক সম্পর্কের সত্যতা যাচাইয়ে কঠোর প্রমাণাদি ও সাক্ষাৎকার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রধান পরিবর্তনসমূহ:
-
প্রমাণের তালিকা প্রসারিত: যৌথ ব্যাংক হিসাব, একসঙ্গে তোলা ছবি, বন্ধু ও পরিবারের স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
-
সশরীরে সাক্ষাৎকার: দম্পতিদের আলাদাভাবে ও যৌথভাবে সাক্ষাৎকার দিতে হবে, যেখানে তাদের সম্পর্কের গভীরতা যাচাই করা হবে।
-
পুরনো আবেদন পুনর্বিবেচনা: একই স্পন্সর বা সুবিধাভোগীর একাধিক আবেদন বিশেষ নজরদারিতে থাকবে।
-
অন্যান্য ভিসাধারীদের জন্য সতর্কতা: এইচ-১বি ভিসাধারীদের আবেদনে অভিবাসন ইতিহাস কঠোরভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
-
গ্রিন কার্ড পেয়েও বহিষ্কার: আবেদন মঞ্জুর হলেও পূর্বের অসঙ্গতি বা অযোগ্যতা থাকলে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
কারণ ও প্রভাব:
ইউএসসিআইএস-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভুয়া আবেদন বৈধ অভিবাসীদের জন্য অপেক্ষার সময় বাড়ায় এবং পারিবারিক ঐক্য বিনষ্ট করে।" সম্প্রতি ভারতীয় এক নাগরিকের ভুয়া বিয়ে ও জাল নথির ঘটনা প্রকাশ পেলে এ সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত হয়।
বিশ্লেষকদের মত:
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. এলেনা রদ্রিগেজ বলেন, "এটি বৈধ আবেদনকারীদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও ভুয়া আবেদন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।"
আবেদনকারীদের জন্য পরামর্শ:
-
বৈবাহিক সম্পর্কের সমস্ত প্রমাণ সংরক্ষণ করুন।
-
সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকুন; ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর দিন।
-
কোনো অসঙ্গতি থাকলে আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
ইউ