
ফাইল ছবি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সাক্ষ্য দিলেন আহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান। তিনি ট্রাইব্যুনালে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা পঙ্গু হাসপাতালে আহত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা বন্ধের নির্দেশ ("নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ") দিয়েছিলেন।
মামলার মূল ঘটনাবলি:
-
সাক্ষীর বক্তব্য:
-
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিজয়নগরে পুলিশের গুলিতে ইমরানের বাঁ পা ঝাঁজরা হয়
-
পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬/২৭ জুলাই শেখ হাসিনা তার শয্যাপাশে আসেন
-
হাসপাতাল হেল্পডেস্কে শেখ হাসিনার "চিকিৎসা বন্ধ, মুক্তি নয়" নির্দেশ শুনেছেন বলে দাবি
-
-
আসামিদের তালিকা:
-
শেখ হাসিনা (পলাতক)
-
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (পলাতক)
-
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদনকারী)
-
-
ট্রাইব্যুনালের অবস্থান:
-
১০ জুলাই ৫টি অভিযোগ গঠন
-
সাবেক আইজিপি মামুন অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে চেয়েছেন
-
শেখ হাসিনা ও কামালের অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে
-
সাক্ষীর বর্ণনায় গুরুত্বপূর্ণ দিক:
১. শেখ হাসিনা ইমরানকে "আপা" সম্বোধন করতে বলেছিলেন
২. আন্দোলনে জড়িত জানার পর চিকিৎসা বন্ধের নির্দেশ দেন
৩. পরবর্তীতে চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় ইমরানকে কারাগারে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়
মামলার পরবর্তী ধাপ:
-
ইতিমধ্যে ২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
-
আগামী সপ্তাহে আরও সাক্ষী তলবের সম্ভাবনা
-
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, "প্রতিদিন অন্তত ৩ সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে"
ইউ