
ছবি সংগৃহীত
২০২৫ সালের ফিজিওলজি বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে অন্যতম হলেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক মেরি ই ব্রুনকো (Mary E. Brunkow)। মানবকল্যাণে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হলো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের যুগান্তকারী আবিষ্কার 'পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স' নিয়ে গবেষণার জন্য মেরি ই ব্রুনকো যৌথভাবে ফ্রেড র্যামসডেল (যুক্তরাষ্ট্র) এবং শিমন সাকাগুচির (জাপান) সঙ্গে এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন।
মানবতার সেবায় নারীর অবদান:
-
রোগের বিরুদ্ধে নতুন অস্ত্র: মেরি ই ব্রুনকো এবং তাঁর সহকর্মীদের এই আবিষ্কার ক্যান্সার এবং অটোইমিউন (যখন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজের কোষকেই আক্রমণ করে) মতো জটিল রোগগুলোর চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
-
ভবিষ্যৎ চিকিৎসার ভিত্তি: নোবেল জুরি জানিয়েছে, তাঁদের এই কাজ রোগের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের পথ প্রশস্ত করেছে। অর্থাৎ, এই নারী বিজ্ঞানীর গবেষণা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে বা তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সরাসরি সাহায্য করবে।
-
নারীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: এই সম্মাননার মাধ্যমে মেরি ই ব্রুনকো বিশ্ব মঞ্চে নারী বিজ্ঞানীদের ক্ষমতা ও মেধার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তিনি প্রমাণ করলেন, বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ মানবজাতির জন্য কতটা অপরিহার্য।
নোবেলের সূচনা ও অন্যান্য তথ্য:
-
পুরস্কারের ঘোষণা: সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে সোমবার (৬ অক্টোবর) চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমে এবারের নোবেল মৌসুম শুরু হয়েছে।
-
পুরস্কারের মূল্য: বিজয়ীরা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডলার সমমূল্য), ১৮ ক্যারেটের সোনার পদক ও একটি সম্মাননাপত্র পাবেন।
-
অনুষ্ঠান: পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে।
মেরি ই ব্রুনকোর এই অর্জন বিশ্বজুড়ে নারী গবেষক ও বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং বিজ্ঞানে নারীর অংশগ্রহণকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা যায়।
ইউ