
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের আজিম এবং মানিকগঞ্জের বৃষ্টি নামে এক দম্পতিকে বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই যুগল বাংলাদেশের বাইরে একাধিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট আপলোড ও প্রচার করতেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
সক্রিয়তা ও উপার্জন: সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এই দম্পতি বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্ন কনটেন্ট আপলোড করতেন এবং তাঁদের পরিচালিত চ্যানেলটি বিশ্বের জনপ্রিয় পর্ন সাইটগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠে আসে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তারা বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলেন। বৃষ্টির নামে খোলা একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল যৌথভাবে পরিচালনা করে তারা নিয়মিত ভিডিও লিংক শেয়ার করতেন। বিভিন্ন পোস্টে তারা আয়ের স্ক্রিনশট ও নগদ অর্থ দেখিয়ে নতুনদের এই পথে উৎসাহিত করতেন।
ব্যক্তিগত পরিচিতি: ২৮ বছর বয়সী বৃষ্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে ‘বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল’ হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায়। আজিম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়রা তাকে ‘অন্ধকার জগতের মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বৃষ্টির ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে প্রায় ৪৯ হাজার ও ১২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে বিলাসী জীবনধারার ছবি, নগদ অর্থ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চিত্র প্রকাশ করে তারা নিজেদের স্বাধীন জীবনধারার প্রচার করতেন।
আইন লঙ্ঘন: গ্রেপ্তার হওয়া এই দম্পতির কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। এই আইনে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ নিষিদ্ধ। সিআইডি জানায়, এই যুগল শুধু নিজেরাই অপরাধ করছেন না, বরং অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছিলেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে পর্ন ভিডিও বানানো এবং প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছিল।
পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট মাদক সংক্রান্ত একটি মামলায় আজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি জামিনে মুক্তি পান।
ইউ