
ছবি: বিদায়ী সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জান মোহাম্মদ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক রেশমা ইয়াসমিনকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে বিদায়ী সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ মে) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রেশমা ইয়াসমিন।
অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন আতাউর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ৯০৭ নম্বর স্মারক মূলে আতাউর রহমানকে সদর উপজেলার পেয়িং অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে বদলীর আদেশের পর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমনুরা খাদ্য গুদামে প্রবেশ করতে যান সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ। এ সময় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক রেশমা ইয়াসমিন প্রবেশের কারণ জানতে চান। এতে অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে রেশমা ইয়াসমিনকে ধাক্কা দিয়ে সংরক্ষিত এলাকা খাদ্য গুদামে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন জান মোহাম্মদ। পরে খাদ্য গুদামের অফিসে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দিলে সেখানেও তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে অফিসে প্রবেশ করেন। একই সঙ্গে দেখে নেয়ার হুমকি দেন জান মোহাম্মদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে সহকারী খাদ্য পরির্দশক সালেমা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে জান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। এছাড়া সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিকের সাথে দূব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ২০২৩ সালে শিবগঞ্জে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে থাকাকালীন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্ডের এন্ট্রি বাবদ এক লাখ সাত হাজার টাকা আত্মসাত করেন তিনি। সবশেষ চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সঠিকভাবে দায়িত্বপালনে অবহেলার পাশাপাশি তার আচরণ সরকারি কর্মচারীর শৃংখলা ভঙ্গের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক রেশমা ইয়াসমিন বলেন, শারীরিকভাবে হেনস্থা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুনে অত্যন্ত মর্মাহত। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে এমন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী সত্ত্বার জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। এসব বিষয়ে জান মোহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে। একই সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউ