ঢাকা, বাংলাদেশ

সোমবার, , ১৩ অক্টোবর ২০২৫

English

মতামত

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: চোরকে কয় চুরি কর, গৃহস্থকে কয় সজাগ থাক

এএইচএম নোমান

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৩ অক্টোবর ২০২৫; আপডেট: ১৮:২৫, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: চোরকে কয় চুরি কর, গৃহস্থকে কয় সজাগ থাক

ছবি: এএইচএম নোমান

তামাক কোম্পানির স্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্যের স্বার্থ একে অপরের পরিপন্থী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তামাক একমাত্র বৈধ ভোক্তা পণ্য যা তামাক কোম্পানির উদ্দেশ্যমতো ব্যবহার করলে প্রায় অর্ধেক ভোক্তাকে হত্যা করে। তামাক কোম্পানি কখনো জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করে না; বরং নতুন নতুন প্রাণঘাতী পণ্য বাজারজাত করে তরুণদের আকৃষ্ট করে আজীবন গ্রাহকে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। এ কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এর আর্টিকেল ৫.৩ তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সুরক্ষা ও প্রভাবমুক্তও রাখতে হবে। 

জেনেভায় ২০০৩ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) র বিশাল আয়োজনে এফসিটিসিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। জনগনের স্বাস্থ্য আন্দোলন (PHM) বাংলাদেশ সার্কেলের চেয়ার হিসেবে ১৭ সদস্যের সিভিল সোসাইটি ও এনজিও প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে অংশগ্রহন করি। গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ডা জাফরুল্লাহ চৈাধুরী ছিলেন প্রকৃত গাইড। গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ধুমপান মুক্ত। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ইতিমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পিকেএসএফ, র্ডপসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান ধুমপান মুক্ত হয়েছে । ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু কষ্টের বিষয় ২০০৩ থেকে বর্তমান ২০২৫ এই দীর্ঘ দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও, যেই কপাল সেই মাথা। তরুণ-ছাত্র শ্রমিক জনতার রক্ত ঝরা ৩৬ জুলাই’র ফসল ও নিয়োগপ্রাপ্ত অন্তর্বত্তীকালীন সরকারের হাতে ও টেবিলে ফাইল ঘুরাঘুরি করছে। আমাদের জানা মতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য - জনস্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনও সংশোধন বিষয়াদি অতি যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব লিখে সিদ্ধান্তের জন্য দাখিল করেছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সেল কর্মকর্তা, উঁচু থেকে নীচ পর্যন্ত সর্ব পর্যায়েই একই ভাবে প্রশাসনিক ও জনদাবী জনকল্যানে সংশোধন আইন খসড়া প্রস্তাব, ফাইলে সাজিয়ে টেবিলে প্রস্তুত রেখেছেন। তবে এরই মধ্যে খসড়া আইন সংশোধন পর্যালোচনা কমিটি ২০২৫, অর্থ উপদেষ্টা মহোদয়কে আহবায়ক করে গঠন করা হয়েছে। দেশবাসী সংশোধন সিদ্ধান্তে যখন আশাবাদী হয়ে উঠছেন, বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না যে, তামাক কোম্পানী প্রতিনিধিদের আইন সংশোধনের স্টেকহোন্ডার আলোচনায় আনা হবে? এ যেন শিয়ালের কাছে মুরগী বাগী। যা এফসিটিসি অর্টিকেল ৫.৩ এর সুপষ্ট লঙ্ঘন। খোদ সরকারই যদি আইন লঙ্ঘনকে প্ররোচিত করে তাহলে তামাক পান পক্ষীদের অপরাধ কে দমন করবে? প্রচলিত আছে, যদি আপনি কিছু ‘না’ করতে চান বা ‘বিলম্ব’ করতে চান তাহলে, একটি ‘কমিটি’ করে দেন - ব্যাস, আর সব ঠান্ডা! সব নিয়ন্ত্রনে আছে কোন হই চই নেই। আরো বিস্ময়ের বিষয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা সেদিন এক সেমিনারে তরুণ-ছাত্রদেরকেই অভিযুক্ত করলেন যে, তারা কেন ধুমপান বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে না-বন্ধ করতে পারে না-সরকারের পক্ষে একা সম্ভব নয় ইত্যাদি। উপস্থিত এক ভূক্তভুগী সিনিয়ার সিটিজেন, সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব সেমিনারে এ সকল টানাপোড়েন ও দেরীর জন্য কথা বলতে গিয়ে রাগে ক্ষোভে অসহায়ত্বে কেঁদেই ফেললেন। এ সকল বিড়ম্বনা দেখে নিয়োগদাতা তরুণ জনতা যা বলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে!’ অপর এক অর্থনীতি সংবাদিক সমিতি সেমিনারে সরকারের এক দায়িত্বপূর্ণ মূখপাত্র বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ সংশোধনে একটিভিস্টদের প্রচেষ্টা ব্যার্থ। উল্টো প্রশ্ন রাখেন আপনারা কেন মানুষকে সচেতন করতে পারেন না, যেমনটি এ দেশে ওরস্যালাইন ও ক্ষুদ্রঋণ সফল হয়েছে। হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ। যাবো কোথায়? আইন সংস্কার কি জনগন করতে পারে? পারে তো সরকার। এই হলো মারপ্যাঁচ। আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়, তামাক বিষয়টি নিয়ে একটি শক্তিশালী আন্তজার্তিক চক্র সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারই ফলশ্রুতিতে আমাদের দেশেও আমরা ওই ব্যবসায়িক চক্রের ডিপ্লোমেটিক চাল-জালে ঝুলে আছি।

বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ তামাক। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৮০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায় তামাকজনিত রোগে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব ভয়াবহ—২০১৭ সালের গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় (প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন), এবং পঙ্গুত্বের স্বীকার হয় ৪ লক্ষ মানুষ। হৃদরোগ, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের নানান রোগের অন্যতম কারণ এই তামাক। মোটা দাগে, পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৭ কোটি ৬২ লক্ষ মানুষ এ শিল্পের ক্ষতির শিকার। এমনকি তামাক বাংলাদেশের অকাল মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবেও চিহ্নিত।

২০০৩ সালে এফসিটিসি গ্রহণের পর থেকে রাজস্ব অবদানের প্রশ্নটিকে তামাক কোম্পানি সবচেয়ে বড় কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে, যাতে করে নীতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু স্বাস্থ্যখাত থেকে সরিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশে বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে যে তামাক কোম্পানির অর্থনীতিতে অবদানের দাবিগুলো অতিরঞ্জিত। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তথ্য উল্লেখ করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি টু ফাইট টোব্যাকো জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কেবল তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা তখনকার জিডিপির প্রায় ১.৪ শতাংশের সমান এবং সেই বছরের তামাক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা- অর্থাৎ রাজস্ব আয়ের চশমা দিয়ে দেখলেও তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যুর অর্থনৈতিক ক্ষতি তামাক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব এর চেয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। তাছাড়াও তামাক কোম্পানি দাবি করে যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কৃষক তামাক চাষে যুক্ত, বাস্তবে তা দেশের মোট ১ কোটি ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার কৃষকের ১ শতাংশও না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বহু আগে থেকেই এসব কৃষককে বিকল্প ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যে ভর্তুকিযুক্ত সার দেওয়া হয়, তা প্রায়শই বহুজাতিক কোম্পানির তামাক চাষে ব্যবহার করা হয়।

একইভাবে, তামাক ১৪ শতাংশ খুচরা কর্মসংস্থানের যোগান দেয়—এই দাবিও ভ্রান্ত। চায়ের দোকান এবং ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর অধিকাংশ আয় অন্যান্য পণ্য থেকে আসে। প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী তামাক কোম্পানির কর্মসংস্থান হ্রাসের প্রধান কারণ হলো স্বয়ংক্রিয়তা ও প্রযুক্তির ব্যবহার। একইভাবে, বিড়ি শিল্প বহু বছর ধরে কর্মসংস্থানের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এসেছে। তবে ২০১৯ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের  এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে কার্যকর ১৯৮টি বিড়ি কারখানায় মোট ফুলটাইম কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৬,৯১৬ জন।

জনস্বাস্থ্য ও তামাক কোম্পানির স্বার্থের এই মৌলিক ও আপসহীন দ্বন্দ্বের কারণে তামাক কোম্পানিকে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ‘স্টেকহোল্ডার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। মনে রাখতে হবে, এই শিল্পই দীর্ঘদিন ধরে জেনেও অস্বীকার করেছে যে তাদের প্রাণঘাতী পণ্য ক্যান্সার সৃষ্টি করে, এমনকি মিথ্যা প্রচারণাও চালিয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়ও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—তামাক কোম্পানি কখনোই সরকারের প্রচেষ্টা সফল হতে দেয় না, বরং নানা কৌশলে জনস্বাস্থ্য নীতি দুর্বল করে। 

আমার কথা যে, ২০২৪ সালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, নাগরিক সমাজের সহায়তায় ডব্লিউএইচও এফসিটিসির আলোকে যে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করেছে, তা আমাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো, ১. অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, ২. তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, ৩. তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ৪. ই-সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫. তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও ৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। এই ৬ (ছয়) প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ আরেকবার এগিয়ে যাবে। 

জনস্বাস্থ্য ও তামাক কোম্পানির স্বার্থ কখনো এক হতে পারে না। একদিকে জীবন, অন্যদিকে মিথ্যা মুনাফা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করা এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাই হোক জনকল্যাণী সরকারের অন্যতম সংস্কার অগ্রাধিকার।

আমাদের স্লোগান হোক—“তামাক নিয়ন্ত্রণে কোনো আপস নয়”। এখনই সময় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার। অন্যথায় ব্যর্থতার মূল্য দিতে হবে আমাদের সন্তানদের জীবন দিয়ে। আল্লাহ্ সহায় হউন।

এএইচএম নোমান, প্রতিষ্ঠাতা, ডরপ এবং গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার ২০১৩ বিজয়ী।

চায়ের দোকান এবং ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর অধিকাংশ আয় অন্যান্য পণ্য থেকে আসে। প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী তামাক কোম্পানির কর্মসংস্থান হ্রাসের প্রধান কারণ হলো স্বয়ংক্রিয়তা ও প্রযুক্তির ব্যবহার। একইভাবে, বিড়ি শিল্প বহু বছর ধরে কর্মসংস্থানের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এসেছে। তবে ২০১৯ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের  এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে কার্যকর ১৯৮টি বিড়ি কারখানায় মোট ফুলটাইম কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৬,৯১৬ জন।

জনস্বাস্থ্য ও তামাক কোম্পানির স্বার্থের এই মৌলিক ও আপসহীন দ্বন্দ্বের কারণে তামাক কোম্পানিকে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ‘স্টেকহোল্ডার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। মনে রাখতে হবে, এই শিল্পই দীর্ঘদিন ধরে জেনেও অস্বীকার করেছে যে তাদের প্রাণঘাতী পণ্য ক্যান্সার সৃষ্টি করে, এমনকি মিথ্যা প্রচারণাও চালিয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়ও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—তামাক কোম্পানি কখনোই সরকারের প্রচেষ্টা সফল হতে দেয় না, বরং নানা কৌশলে জনস্বাস্থ্য নীতি দুর্বল করে। 

আমার কথা যে, ২০২৪ সালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, নাগরিক সমাজের সহায়তায় ডব্লিউএইচও এফসিটিসির আলোকে যে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করেছে, তা আমাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো, ১. অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, ২. তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, ৩. তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ৪. ই-সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫. তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও ৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। এই ৬ (ছয়) প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ আরেকবার এগিয়ে যাবে। 

জনস্বাস্থ্য ও তামাক কোম্পানির স্বার্থ কখনো এক হতে পারে না। একদিকে জীবন, অন্যদিকে মিথ্যা মুনাফা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করা এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাই হোক জনকল্যাণী সরকারের অন্যতম সংস্কার অগ্রাধিকার।

আমাদের স্লোগান হোক—“তামাক নিয়ন্ত্রণে কোনো আপস নয়”। এখনই সময় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার। অন্যথায় ব্যর্থতার মূল্য দিতে হবে আমাদের সন্তানদের জীবন দিয়ে। আল্লাহ্ সহায় হউন।

এএইচএম নোমান, প্রতিষ্ঠাতা, ডরপ এবং গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার ২০১৩ বিজয়ী।
Mobile: 01715520351, Email: [email protected]

ইউ

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

বাংলাদেশে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ড. অ্যান অ্যালি

ক্ষুধা নয়, অস্ত্রের পেছনে টাকা খরচ করছে বিশ্ব: ড. ইউনূস

১২ দিনে প্রবাসী আয় ১১৮ কোটি ডলার

ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও সহিংসতায় শিশু মৃত্যু

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে দুঃসংবাদ

সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনুর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: চোরকে কয় চুরি কর, গৃহস্থকে কয় সজাগ থাক

১৫ জন সাংবাদিককে ’গণমাধ্যম পুরস্কার–২০২৫’ প্রদান

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা

স্ত্রী-কন্যাসহ ইসরায়েলে ট্রাম্প, ভাষণ দেবেন নেসেটে

স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমজেএফের কন্যা শিশু দিবস

পিআর’ আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৪৩ হাজার ৩৭৪ জন