
ছবি: ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা রফিক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি
বি এন পি কে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মাইনাস করার চেষ্টা দৃশ্যমান, এর জন্য বি এন পি এর নিজের দায় কম নয় । এত বড় জনসমর্থিত একটি দল মিন মিন করে কথা বলবে যেটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়, গলা উঁচিয়ে বলিষ্ট কণ্ঠে কথা বলার এখন কেউ নেই । বি এন পি’র বর্তমান প্রধান নেতা “তারেক রহমান” এর দেশে ফিরে তার দলের হাল ধরা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে, সে এখন দেশে ফিরলে কর্মী সমর্থকরা উজ্জীবিত হবে এবং চলমান দলীয় লোকজন দ্বারা সংঘটিত অন্যায়ের তারাই উঁচু গলায় প্রতিবাদ করবে । আওয়ামীলীগ ত অনেক আগেই সরকারের সফল প্রচেষ্টায় মাঠ থেকে বিতাড়িত হয়েছে ।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বাংলাদেশে মার্কিন ডিপ স্টেট এখনও চালু আছে, এই ষড়যন্ত্র তত্তের পিছনে যুক্তি হিসাবে আমি দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার অস্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, জামাত সহ ইসলামিক দলগুলোর তৎপরতা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় মব সংকৃতির অপতৎপরতা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা, জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়া, তারসঙ্গে অতি বিপ্লবীদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা, তার সঙ্গে আরো জোরালোভাবে চালু হয়েছে সাংবাদিকদের ভয়ের সংস্কৃতি ।
এখন ত ভাবতে শুরু করেছি - ডঃ ইউনুস ত্রিশ/চল্লিশ কোটি জনগণের টাকা খরচ করে লন্ডনে যাওয়ার প্রধান উদেশ্যই ছিল বর্তমানে বি এন পি এর প্রধান নেতা তারেক জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার মুখ বন্ধ করা l কারণ লন্ডনে ইউনুস - তারেক জিয়া একান্ত বৈঠকে কি আলাপ হয়েছে আমরা জানি না, হয়তো কোনোদিন জানবোও না । বাংলাদেশেও মাঠ পর্যায়ে বি এন পি নেতাদের অতি উৎপাত, চাঁদাবাজি দলকে কোনঠাসা করে ফেলেছে l এর পিছনেও প্রতিক্রিশীল চক্রের অবস্থান একেবারেই উড়ে দেয়া যাবে না, ব্যপক জনসমর্থিত দল বি এন পি এর এখন বড় সমস্যা প্রধান নেতৃত্বের দেশের মাটিতে অনুপস্থিতি l ওই যে যেটা বলছিলাম ডিপ স্টেট এখনও চালু থাকতে পারে !
২০০৬ সাল যখন ফকরুদ্দিন - মঈনুদ্দিন এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ডিপ স্টেট চালু ছিল বলে কান পাতলে বাতাসে শুনা যেত l সেই সময় তৎকালীন অন্তর্বর্তী সরকার বুজতে পেরেছিলো যে বাংলাদেশের ৭০-৮০ শতাংশ সাধারণ মানুষ বড় দুই দলের দুই নেত্রীর পিছনে । আর তাই তারা মাইনাস- টু ফর্মুলা কার্যকর করার চেষ্টা করতে থাকল, এবং মার্কিন গুড বুক এ থাকা কিছু সুশীলকে নিয়ে প্রফেসর ডঃ ইউনুস এর নেতৃত্বে “নাগরিক শক্তি” নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করল, তাদের ধারণা ছিল দুই নেত্রীকে মাইনাস করতে পারলে অর্থাৎ দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে পারলেই ডঃ ইউনুস এর দল নাগরিক শক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একক শক্তি হিসাবে আবির্ভুত হবে এবং ক্ষমতায় চলে যাবে l কিন্তূ সে আশায় গুঁড়োবালি, কিছু দিনের মধ্যেই ফকরুদ্দিনমঈনুদ্দিন-ইউনুস বুঝে গেল বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ডঃ ইউনুস এর নেতৃত্বকে সমর্থন করবে না l আর তাই ডঃ ইউনুস তার দল গঠন প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে গেল l এর পরের ঘটনা প্রবাহ আমরা সবাই জানি l
বাংলাদেশে এখন এটা খুবই পরিষ্কার যে বি এন পি কে মাঠ থেকে সরানোর জোরালো চেষ্টা দৃশ্যমান, আওয়ামীলীগ তো মাঠ থেকে আগেই বিতাড়িত হয়েছে, এখানে ডিপ স্টেট কার্যকর থাকলেও থাকতে পারে, কারণ মার্কিনিদের বঙ্গোপসাগরে তাদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে ক্রিয়াশীল বহু আগে থেকেই, উধাহরণ স্বরূপ সেইন্ট মার্টিন দ্বীপ এখন জনসাধারণের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে, অথচ ওখানে পর্যটনের জমজমাট ব্যবসা ছিল, গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন কোম্পানিদের প্রাধান্য, বোয়িং এর বিমান ক্রয়সহ আরো অনেক কিছু, রোহিঙ্গাদের জন্য করিডোর, চট্টগ্রাম বন্দরকে মার্কিন সমর্থিত বিদেশী কোম্পানির কাছে লম্বা সময়ের জন্য লিজ দেয়া l
ইউনুস সরকার যদি বি এন পি কে মাইনাস করতে সমর্থ হয় তাইলে বাংলাদেশ চলে যাবে উগ্র মৌলবাদ সমর্থিত অতি বিপ্লবীদের হাতে, যেটা হবে বাংলাদেশের জন্য এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য ভয়ংকর অধ্যায়, সর্বক্ষেত্রে ঊল্টা দিকে ধাবমান বাংলাদেশের গতি দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে l
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা রফিক
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি
//এল//