
ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাংলাদেশ সরকার ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করেছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও, বিষয়টি আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) জনসমক্ষে আসে।
প্রতিবেদনের মূল অংশ (পয়েন্ট আকারে):
-
অস্থায়ী কারাগারের অবস্থান ও পরিচয়:
-
ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত 'এমইএস' বিল্ডিং নং-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
-
-
আইনগত ভিত্তি:
-
বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ধারা ৫৪১(১) এবং The Prisons Act, ১৮৯৪ (IX of 1894)-এর ধারা ৩(বি)-এর ক্ষমতাবলে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
-
-
প্রজ্ঞাপন জারি:
-
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা থেকে ১২ অক্টোবর, রোববার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
-
প্রজ্ঞাপনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা হয়েছে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
-
-
উদ্দেশ্য অস্পষ্টতা:
-
প্রজ্ঞাপনে ভবনটিকে সাময়িক কারাগার হিসেবে ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
-
-
প্রেক্ষাপট (সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা):
-
গত ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গুম-খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
-
১১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অভিযুক্ত ২৫ জন সেনাসদস্যের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরে আছেন ১ জন এবং বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন।
-
-
আদালতে উপস্থিতির তাগিদ:
-
সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনের পরদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মন্তব্য করেন যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা এখন সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন, তাদের অবশ্যই আদালতে সোপর্দ করতে হবে।
-
ইউ