ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, , ১৭ জুন ২০২৫

English

মতামত

শ্রীরামকৃষ্ণের হাসি-নিঃসম্বলের সম্বল

মধুরা ব্যানার্জি

প্রকাশিত: ১২:২৮, ১৬ জুন ২০২৫

শ্রীরামকৃষ্ণের হাসি-নিঃসম্বলের সম্বল

সংগৃহীত ছবি

আধুনিক যুগের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে অধ্যাত্মচেতনা শৈশবে প্রকাশ পেলেও ভগবান আছেন- এ-বিশ্বাস তাঁর দৃঢ় ছিল না। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত' এবং রোমাঁ রোলার দেখা 'The Life of Ramakrishna' বই দু-খানি পড়ে ভগবান যে আছেন এ বিশ্বাস তাঁর সুদৃঢ় হয়েছে। তাঁর লেখা সাহিত্যে এরপর থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী, উপমা বেশ স্থান পেত। এ-সময়ে তিনি প্রায়ই বেলুড় মঠে যাতায়াত করতেন এবং বিভিন্ন সাধুদের সঙ্গে মিশতেন। তিনি যে একসময় শ্রীরামকৃষ্ণকেই ভগবান বলে বিশ্বাস করতেন তা তাঁর নিজের লেখা থেকেই জানা যায়। একদিন ছেলে বাবলুর জ্বরের জন্য তাঁর মন খুব খারাপ। ১৯ মে, ১৯৫০-এ তিনি লিখেছেন: "ভগবান রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের ছবির কাছে বাবলুর জন্যে প্রার্থনা করি। পেনিসিলিন নিয়ে যখন আসছি,তখন শুধুই ভাবছি বাবলুকে গিয়ে কেমন দেখব। বাড়ি এসে শুনি ফোঁড়া ফেটে গিয়ে জ্বর কমে গেছে। রামকৃষ্ণকে.... কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাব, ভগবান তো বাবা তাকে কি জানাবো ..." 
শ্রীরামকৃষ্ণে তাঁর একনিষ্ঠ বিশ্বাস-ভক্তির এ এক জ্বলন্ত- নিদর্শন।

পরবর্তী কালে এই বিশ্বাস-ভক্তি এতই পাকা হলো যে, তিনি শ্রীরামকৃষ্ণকে জীবনের ধ্রুবতারা রূপে গ্রহণ করে তাঁর ফটো পূজা করে, ধ্যান করে তাঁকে জীবন্তই উপলব্ধি করেছেন। এক সময় বিভূতিভূষণের হৃদযন্ত্র ও কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। মৃত্যুর পূর্বদিন মঙ্গলবার তিনি তাঁর স্ত্রী কল্যাণীদেবীকে ভেঙ্গে পড়তে দেখে বলছেন, তুমি অত অধীর হচ্ছ কেন? তিনি পরম পিতা, তিনি ডেকেছেন, আমার প্রয়োজন হয়েছে আমি যাচ্ছি। তোমারও প্রয়োজন অাসবে, তিনি ডাকবেন, তুমিও যাবে। এ তো শুধু এবাড়ি থেকে ওবাড়ি যাওয়া। এতে এত বিচলিত হওয়ার কি আছে? তিনি তো আমাদের সকলেরই পিতা। পরদিন বুধবার। বিভূতিবাবু তাঁর পরিচিত একজন স্বামীজীকে ডেকে পাঠালেন রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। বললেন, “আর কেন স্বামীজী, নাম শোনান ঠাকুরের! বললেন, “আমাদের ওখানকার (সম্ভবত বেলুড় মঠের পুরনো মন্দিরে পূজিত বড় তৈলচিত্রখানি) সেই বড় ছবিখানার কথা মনে আছে? ঠাকুরের?" "নিশ্চয়!" দুহাত তুলে প্রণাম করলেন বিভূতিভূষণ।

ঐদিন মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তেও তাঁর মুখে ছিল এক অদ্ভুত স্বর্গীয় হাসি। তাঁর শয্যাপাশ্বের ডাক্তারের স্বীকারোক্তি: 'বহু রোগীর মৃত্যু দেখেছিলাম। এ-হাসি কখনো কল্পনা পর্যন্ত করিনি। দেবতার হাসি

সেই বড় ছবিধানাতে শ্রীশ্রীঠাকুরের যে দিব্য হাসি যা তিনি দর্শন করেছেন, বিভূতিভূষণ শ্রীশ্রীঠাকুরের সেই ছবি নিজ হৃদয়ে ধ্যান করে এমন সম্পদে পরিপূর্ণ হয়েছেন যে, তাঁর মৃত্যু ছিল না। তাই এভাবে জীবনের অন্তিম লগ্নে অবিচল নির্ভয়ে পরম পিতার আহ্বান তিনি তাঁর সহযর্মিণীকে শুনিয়েছেন। হয়তো তিনি দেখছেন সংসারের পাপ-পঙ্কিল কর্মফল থেকে মুক্ত করে তাঁর ইষ্টদের ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ দু-হাত বাড়িয়েকোলে নিতে এসেছেন। তাই হয়তো শ্রীশ্রীঠাকুরের দিব্য হাসি দর্শনে তাঁকে নিশ্চিত নির্ভর করে অনাবিল হাসিতে ভরিয়ে দিয়েছে—যা উপস্থিত ডাক্তারেরও চোখে ধরা পড়ে।

//এল//

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলের হামলা

১১৬ বছরে প্রথম নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য দ্রুত ইসিকে জানাতে বললেন সালাহউদ্দিন

নারী কর্মীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতার, অডিও ফাঁস!

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’

১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের কমিশন গঠন

ইরান-ইসরায়েল ’যুদ্ধ’ পরিস্থিতি পোশাকশিল্পে নতুন চ্যালেঞ্জ

একদিনে নতুন ২৩৪ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়তে হবে: রিজওয়ানা

স্ত্রীর জন্য স্বামীর ‘তাজমহল’ উপহার

জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় নিন্দা

পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ইরানের

স্বামীসহ সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান