‘পানি দূষণ রোধে সরকার ও জনগণের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পানি দূষণ রোধে সরকার ও জনগণের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ‘সবুজ আন্দোলন’র চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী (সাবেক উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। সবুজ সংগঠনটি মূলত একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। মূলত ‘খনিজ জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করুন, নবায়ন জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ‘সবুজ আন্দোলন’র যাত্রা শুরু হয়েছিল। সংগঠনটি এই স্লোগানকে অক্ষুন্ন রেখে পঞ্চম বছরে পদার্পণ করেছে। 

শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের অনুষ্ঠান শুরু করে। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের অর্থ পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন রুপা। অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া, অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান মজুমদার জাফর, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ড. আদিল মোহাম্মদ খান, প্রকৌশলী মো. এনামুল হক, মো. এজাজ, ড. তুহিন ওবায়দুল, মো. জাহিদুল হক সর্দার, ডাক্তার সাকিরা নেভা, এস এম আতিকুর রহমান, মহসিন সিকদার পাভেল, এবং অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর তনু। 

নিলুফার ইয়াসমিন রুপা বলেন, সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মূলত পরিবেশকে বাঁচানোর বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে গাছ রোপন, খনিজ জ্বালানি বন্ধকরণ, পলিথিন পণ্যের ব্যবহার বন্ধকরণ, পাট জাত পণ্যের ব্যবহার, এবং নদী হত্যা রোধন করতে হবে।

সংগঠনটির সভাপতি বাপ্পি সরকার বলেন, বাইপাস ক্যানাল পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে ৮০ ভাগ পানি দূষণ রোধ করা সম্ভব। 

নদী রক্ষায় শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জনগণকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার মো. মনজুরুল কিবরিয়া।

এসময় আটজনকে গ্রিনম্যান অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘পানি দূষণ রোধে সরকারের যেমন করণীয় তার চেয়ে বেশি করণীয় জনগণের, কারণ পরিবেশ বাঁচাতে শুধু সরকারের একা কাজ করলে হবে না। কাজ করতে হবে প্রতিটি জনগণের নিজ দায়িত্ব থেকে। তাহলেই বরং পরিবেশ রক্ষা, পানি দূষণ রোধ করা সম্ভব।’

সর্বোপরি তরুণ সমাজকে রোবটিক জীবন যাপন থেকে বেরিয়ে এসে পরিবেশভিত্তিক কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা তাদের আজকের এই আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।