ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে হাওরের উন্নয়নে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, জাতীয় হাওর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর পানি ভবনে অনুষ্ঠিত “UK-Bangladesh Collaboration on Ecology-Based Adaptation and Hydro-Met Services” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবেদনের মূল পয়েন্টসমূহ:
-
খাদ্য নিরাপত্তা ও হাওর উন্নয়ন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই হাওরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। উপদেষ্টা বলেন, হাওর রক্ষা মানেই দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা করা।
-
মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত: সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় হাওর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছে।
-
আইনি সুরক্ষা: হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে অন্তর্ভুক্ত করে পানি আইনের আওতায় সুরক্ষা আদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আদেশ গেজেট আকারে প্রকাশের পর এসব এলাকা জলবায়ু ও কৃষিবান্ধব ইকোসিস্টেম হিসেবে ব্যবস্থাপিত হবে।
-
স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগ: হাওরবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উপদেষ্টা একটি 'নৌ-হাসপাতাল মডেল' বিবেচনার কথা জানান, যা বন্যা ও শুষ্ক মৌসুম উভয় সময়েই সচল রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
বন্যা পূর্বাভাস উন্নতকরণ (EnRICH): ‘এনরিচ’ (EnRICH) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে। এটি যুক্তরাজ্য সরকারের মেট অফিস, রাইমস (RIMES), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
-
সহযোগিতার ফল: আগামী ছয় মাসে এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃষ্টিপাত ও জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য আরও কার্যকরভাবে বিশ্লেষণে সক্ষমতা বাড়াবে।
-
নবপল্লব প্রকল্পের সম্প্রসারণ: যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নবপল্লব’ প্রকল্পের সুন্দরবন ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়াতে অর্জিত সাফল্যের ভিত্তিতে হাকালুকি হাওরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান, কেয়ার বাংলাদেশের এমেবেট মেনা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. আইনুন নিশাতসহ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, একাডেমিয়া ও নাগরিক সমাজের ১৫০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ইউ





