সংগৃহীত ছবি
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিক হামলা ও যৌন হয়রানির শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
অতিরিক্ত কমিশনার জানান, সাংবাদিক সোনালী আক্তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
আমরা মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিককে দায়িত্ব পালনের সময় এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা কোনো ভাবে সমর্থন যোগ্য নয়। টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কমিশনার হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়ে কাজ করেছি।
তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
সোনালী আক্তার তাঁর অভিযোগে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করেন এবং লাইটার জ্বালিয়ে গাল আগুনে ঝলসে দিয়েছে।
সোনালী নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন সাংবাদিক সোনালী আক্তার।
//এল//