
ছবি: বৃষ্টিস্নাত সকাল সুন্দরবন ভ্রমণের দৃশ্য...
নয় নয় তেইশে পাগলাঘাটা ঘুষিঘাটা হয়ে বাসন্তী পেরিয়ে বাস যখন পৌঁছল গদখালি মাথার ওপর খাক্ খাক্ কাশছে মহান সূর্য! যেন বৃষ্টি ও বাতাস বলে কেউ ছিল না কোনও দিন এখানে। তপ্ত দুপুর নাচছে তা ধিন্ ধিন্। দলে তারুণ্য ও প্রৌঢ়ত্বের টক মিষ্টি মিশ্রণ। লঞ্চ 'বিশ্বনাথ' পৌঁছল গোসাবার বেকন বাংলো যেখানে সমবায় নিয়ে মুখোমুখি বসে কথা বলছেন রবীন্দ্রনাথ ও হ্যামিল্টন সাহেব। তারপর যে দিকে চোখ যায় ভাটার টানে ঘন সবুজ জল আর জল। লঞ্চেই ইলিশ পার্বণ, লঞ্চেই যত কথাকাহিনী ও কথাকলি। রাতের হল্ট গোসাবার-ই বালি যুব আবাসন। জমে যায় স্থানীয়দের ঝুমুর অন্য সংস্থার বাউল এবং 'খোলামনের' বিনোদন বিচিত্রা...
পরদিন সজনেখালি পিরখালি সুধন্যখালি দো-বাঁকি নেতা- ধোপানি যেখানেই যাই বা না যাই দেখা নেই পাখিরালয়ে পাখি ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘ জলে কুমির কামট খাঁড়িতে কাঁকড়া ডাঙায় প্রাণীর হুল্লোড় গাছে ফুল বা বনে বন্যতা, থাকার মধ্যে দু একটি হরিণ গোসাপ আর কাদাখোঁচা। যেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বর্ণিত অসুন্দরের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন সুন্দরবন...
তবু আছে বনবিবির বিহ্বলতা, পঞ্চমুখী নদীর ( বিদ্যাধরী- গুমোর - পিরখালি- খনাখালি- হেঁড়েখালি ) নি:সীম নীল শূন্যতার অসীম আহ্বান আর সুন্দরী গর্জন গরান কাঁকড়া ক্যাওড়ার নির্মল হাসি ও হাতছানি আবার আসার...
ইউ